এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সাংগঠনিক রদবদলের পরেও দল ঝিমোচ্ছে! আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে শাসকদলের তৃণমূল স্তরে

সাংগঠনিক রদবদলের পরেও দল ঝিমোচ্ছে! আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে শাসকদলের তৃণমূল স্তরে

 

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি। অতীতে এখানে তৃণমূলের অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও, যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন শিলিগুড়িতে তৃণমূলের সংগঠন ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজকর্মের অভাবের জন্যই যে এই বিপর্যয়, তা বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিক মহলের।

 

জেলা সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। কিন্তু তাও এখানে ঠিক মত কর্মসূচি না নেওয়ার জন্য তৃণমূলের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। জানা যায়, অতীতে এখানে জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন রাজ্যের বর্তমান পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। কিন্তু লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির পর গত 14 সেপ্টেম্বর দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সেই গৌতম দেবকে সরিয়ে তার জায়গায় বসানো হয় শিলিগুড়ি পৌরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারকে।

পাশাপাশি ফাঁসিদেওয়া-খড়িবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান পদে মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ, মাটিগাড়া- নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান পদে প্রবীর রায় এবং শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান পদে রঞ্জন সরকারকে বসানো হয়। এছাড়াও আরও অনেক সাংগঠনিক পদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এতকিছুর পরেও সেই ভাবে শিলিগুড়িতে দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করার দিকে নজর দেয়নি তৃণমূল বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সংগঠনে পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু নেতৃত্বের কর্মসূচি নেওয়ার ব্যাপারে অনিচ্ছার অভাব রয়েছে। আর তাই তো শিলিগুড়ি পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দলটির বিরুদ্ধে তেমন ভাবে কোনো কর্মসূচি নিয়ে লড়াই দিতে পারছে না দল। যা আদতে তাদের ক্ষতি করছে বলেই দাবি তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। কিন্তু কেন এইভাবে শিলিগুড়িতে ঝিমোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস! কেন তারা কোনো কর্মসূচি নিচ্ছেন না!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা শিলিগুড়ি পৌরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, “দলে আলোচনা করেই ডেঙ্গু-প্রতিরোধ, জঞ্জাল সাফাই, বিজয়া সম্মিলনী সহ সমস্ত ধরনের উৎসবে শামিল হওয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কয়েকদিন পর আরও জোরদার কর্মসূচি নেওয়া হবে।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের কাজল ঘোষ বলেন, “সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিগুলো দলে আলোচনা করেই নেওয়া হচ্ছে। এতে দলের লাভ হবে।” কিন্তু দল যাদের জন্য, সেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কিন্তু দলের কর্মসূচিতে মোটেই সন্তুষ্ট নন। তাদের দাবি, যত দিন যাচ্ছে, ততই তৃণমূল এখানে ভেঙে পড়ছে। কারন সঠিক কর্মসূচির অভাব। আর তাইতো এবার নেতাকর্মীদের এই অভিমান ঘোচাতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ঠিক কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!