“তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূলকে এই ভাষাতেই এদিন তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। করোনা থেকে আমফান,ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব কিছু নিয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপঘোষ মুখ খুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তীব্র আক্রমণ জানিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলকে। বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এবার ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।

ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই নিয়েই এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “ত্রাণ দিতে গেলে পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিচ্ছে। আমাদের এমপিদের আটকাচ্ছে। আবার নিজেরাও ত্রাণ দিতে পারছে না। মারপিট করছে। এতো ভয়ঙ্কর অবস্থা। তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে।”

এদিন ভাঙরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে, গোঠীদ্বন্দের জেরে যুব তৃণমূল নেতা আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন এই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ”তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল দলের উপর নেতাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। তৃণমূল এখন পার্টি নয় প্রোপার্টি হয়ে গিয়েছে। ”

পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে এদিন তৃণমূল সার্কেলের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি অভিযোগ করেন যে, “শ্রমিকদের ভয়ঙ্কর দশা দেখে কেন্দ্র তাদের নিজেদের রাজ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। আর বাংলার সরকার পরিযায়ীদের নিয়ে রাজনীতি করছে। প্রথম থেকেই রাজ্যের পরিকল্পনা ছিল পরিযায়ীদের ঢুকতে দেবে না। তাদের কোনও ব্যবস্থা নেই। এটা অমানবিক ও নিন্দনীয়। কেন্দ্র ট্রেন দিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাকি দায়িত্ব রাজ্যের।”

আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য সামনে আসতেই শুরু রাজনৈতিক,হলে জোর জল্পনা। কেননা এখনো পর্যন্ত এই নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, শাসকদল প্রতিক্রিয়া দিলে যে ফের ঝড় উঠব ইটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।