এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > তোলাবাজির রাশ হাতে রাখা নিয়ে তীব্র বোমাবাজি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে! ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি

তোলাবাজির রাশ হাতে রাখা নিয়ে তীব্র বোমাবাজি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে! ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সকল স্তরের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, দলে থেকে যাতে কেউ বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত না থাকেন। আর এই ফলাফলের পর নেত্রীর এই কড়া বার্তা দলের ভালোর জন্যই বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। সেই মত বেশ কিছু ক্ষেত্রে তোলাবাজি থেকে শুরু করে মানুষের উপর দাপট দেখানোর প্রবণতা কমিয়ে ফেলেছিলেন তৃণমূলের বেশকিছু ব্যক্তিরা।

আর এর ফলেই যত দিন গিয়েছে, ততই তৃণমূলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ হয়ে ফুটে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে। যার প্রমাণ তিন বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। কিন্তু করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল সাফল্য পেলেও সীমান্তবর্তী জেলা মালদহে তোলাবাজির কর্তৃত্ব হাতে থাকা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় এখন অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, বুধবার রাত থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে মালদহ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বলে পরিচিত মহদিপুর এলাকা।

বোমা- গুলির আওয়াজে রীতিমতো ঘুম উড়ে গিয়েছে এখানকার বাসিন্দাদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালদহের ইংলিশবাজারের এই মহদিপুর এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে একটি স্থলবন্দর রয়েছে। যে স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে। আর ট্রাকগুলোর পারাপারের পার্কিং লট স্থানীয় দুষ্কৃতীদের অনেকের কাছেই কার্যত বেআইনিভাবে টাকা তোলার আখড়া হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় ট্রাকগুলোকে আটকে তোলাবাজির ঘটনা ঘটে আসছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বরাই এই তোলাবাজির পেছনে রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তৃণমূলের দুই মহিলা জনপ্রতিনিধি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। জানা গেছে, তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে এদিন শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রবল বোমাবাজি হয়। যার ফলে 3 জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্ব যখন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, তখন তৃণমূলের স্থানীয় নিচুতলার নেতৃত্বের তোলাবাজি ঘটনা এবং তাকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী কোন্দল যে তৃণমূলের চিন্তাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তুলবে, সেই ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারোরই মনে।

এভাবে চলতে থাকলে দল তো আবার বিপাকে পড়বে! কেন দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করা হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে ইংলিশবাজারের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের স্বামীরা সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করব। দল বিরোধী কাজ করে কেউ ছাড় পাবে না। আগে পার্কিং জোন থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলা হত। ওই অভিযোগ পাওয়ার পর আমি বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হই।”

নীহারবাবুর দাবি, “তারপর সেই সমস্যা মিটে যায়। বর্তমানে কোনো ট্রাকচালকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় না।” তবে নীহারবাবু যে কথাই বলুন না কেন, এত কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও যে তোলাবাজি এবং গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলে কমেনি, তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রচেষ্টা করা তৃণমূল নেতৃত্ব এখন তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থামাতে কি পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!