ভোটের মুখে দলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবার দেদার বিলোবে তৃণমূলের নতুন লোগো দেওয়া হরেক সামগ্রী কলকাতা রাজ্য March 7, 2019 এক সময় দলীয় প্রতীক চেনাতে মানুষের ঘরে ঘরে সেই নিজের দলের পরিচয় পৌঁছে দেওয়ার উদ্ভাবনী ক্ষমতা ছিল প্রয়াত অজিত পাঁজার। একসময় কংগ্রেসের উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সেখানকার ভোটারদের নিজের দলীয় প্রতীক চেনানোর জন্য উপহারের মোড়কে সেই দলীয় প্রতীক সকলের হাতে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। যে উপহারের তালিকায় থাকত হাত প্রতীক ছাপা তেরঙা টুপি, জামা, মেয়েদের বিন্দি এমনকি ঘড়ির মত সামগ্রী। পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে উত্তর কলকাতা থেকে ঘাসফুলের টিকিটের নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রীও হন এই অজিত পাঁজা। সেসব এখন ইতিহাস। কিন্তু এবার সেই প্রয়াত অজিত পাঁজার পরিকল্পনাকে হাতিয়ার করেই তাঁর পথেই হাঁটতে ও ভোটের ময়দানে চমক দিতে এবার নিজেদের লোগো বদলে ফেলে সেই লোগো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এক অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে পোর্সেলিনের কাপ, শাড়ি, রিস্ট ব্যান্ড, টুপি, টি শার্ট এমনকি মোবাইল কভার সেই তৃণমূলের নতুন লোগোকে সাটিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যেই নীল সাদার উপরে তৃণমূলের এই ঘাসফুল আঁকা নতুন লোগো সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর প্রচার পেয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রোফাইল পিকচারে সেই লোগোটি আপলোড করেছেন। এমনকি তৃণমূলের নেতারাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথেই হেঁটেছেন। তবে এবার সাধারন মানুষের কাছে তৃণমূলের সেই নতুন লোগোকে পরিচয় করাতে জিনিসপত্র বিলি করে তার মাঝখানে সেই লোগো বসিয়ে তা সাধারণের কাছে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী শাসক দল। হঠাৎ এই অভিনব ধারণা কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “প্রচার সামগ্রীর নতুনত্বে অজিত পাঁজা যে কৌশল আমদানি করেছিলেন ভোটের ফলেও তার প্রতিফলন ঘটত। আর এবার তৃণমূলও সেই একই কৌশলে গোটা রাজ্যের জন্য আরও অনেক আধুনিক ও নজরকাড়া পরিকল্পনা নিয়ে আসছে।” যদিও তৃণমূলের এই উদ্যোগকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের সম্মিলিত দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ থেকে বেতন কমিশন কিছুই দেন নি মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, তাঁর আমলেই তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট রাজ হয়েছে লাগাম ছাড়া – ফলে সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত। তাই এই সব উপহার বিলি করলেও ভোটের ময়দানে বিশেষ ফায়দা তুলতে পারবে না শাসক দল। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের লোগো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এহেন অভিনব উদ্যোগ নিলেও তৃণমূলের এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষ ঠিক কতটা সাড়া দেন তা বোঝা যাবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের ভোটবাক্স খোলার পরই। আপনার মতামত জানান -