এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের শহীদ মঞ্চে ছাড়! বিজেপির ধরনা মঞ্চ ভাঙতে ‘অতি সক্রিয়’ পুলিশ! তীব্র রাজনৈতিক তরজা!

তৃণমূলের শহীদ মঞ্চে ছাড়! বিজেপির ধরনা মঞ্চ ভাঙতে ‘অতি সক্রিয়’ পুলিশ! তীব্র রাজনৈতিক তরজা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –রাজ্যে আইনের শাসন নেই। বিরোধীদের ক্ষেত্রে প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে ধরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রায়শই কটাক্ষ করে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার বিজেপির তোলা সেই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের মুহূর্তে বিজেপির তোলা অভিযোগ রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দলকে যে পুলিশ প্রশাসন এক ভাবে দেখছে না, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল বলেই মনে করছেন সকলে।

কেননা একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ সমাবেশের দিন বুথে বুথে জমায়েতের কথা ছিল। লকডাউনের মুহূর্তে এবার ভার্চুয়াল সভায় জোর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে শহীদ দিবসে শহীদদের সম্মান জানাতে প্রতিটি বুথে জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে নেত্রীর বক্তব্য দেখানো হচ্ছিল। সেখানে তৃণমূলের সকলে জড়ো হলেও পুলিশকে কিছু বলতে দেখা যায়নি। কিন্তু এদিন রায়গঞ্জ শহরের বিজেপির একটি ধর্না মঞ্চকে কেন্দ্র করে পুলিশের বাধা দানের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল।

বিজেপির প্রশ্ন, তৃণমূল শহীদ দিবস পালনে একসাথে জড়ো হলেও, তাদের বাধা দিল না পুলিশ। কিন্তু বিজেপির ক্ষেত্রে কেন পুলিশের বাধাদান? তাহলে কি এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ নয়? জানা যায়, এদিন রায়গঞ্জের এমজি রোডে বিজেপির পক্ষ থেকে দলীয় বিধায়কের মৃত্যু থেকে শুরু করে এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি ধরনা মঞ্চ করা হয়েছিল। যেখানে বসে ধরনা দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। বিকেল তিনটে নাগাদ এই মঞ্চে পৌঁছন রাজ্য বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিযোগ, তখনই বিজেপির এই কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়। সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পুলিশের বিরুদ্ধে দলতন্ত্রের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। একুশে জুলাই তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে শহীদ দিবস পালন করা সত্ত্বেও, কেন পুলিশ তাদেরকে বাধা দিল না? কেন বিজেপি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাদেরকে বাধা দেওয়া হল! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশকে দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে দমানো যাবে না।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

একইভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিত রায়কে। এদিন তিনি বলেন, “আমাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় একজন রাজবংশী ছিলেন। তাকে খুন করা হল। অথচ পুলিশ আত্মহত্যার ঘটনা বলে সব প্রমাণ লোপাট করল। চোপড়ায় একই ঘটনা ঘটল। রাজবংশী সম্প্রদায়ের কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুন করা হল। সেই ঘটনারও তথ্য গোপন করল। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজবংশীরা আমাদের সব থেকে বেশি ভোট দিয়েছেন। এই রাজবংশীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়েছিলাম। পুলিশ এসে আমাদের ধরনা মঞ্চ থেকে জোর করে তুলে দেয়।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি এই ঘটনায় তাদের হাতে তৃণমূল বিরোধীতার আরও নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল। বিজেপি নির্দিষ্ট কিছু কারণে এদিন প্রতিবাদ করতে বসেছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে যেভাবে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও বেশ কিছু নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হল, তাতে বিজেপির পক্ষ থেকে এখন তৃণমূল ও পুলিশ এক হয়ে গেছে, এই অভিযোগ তুলে ধরা হবে।

কেননা কিছুদিন আগে তৃণমূলের শহীদ দিবস পালন করা হলেও, সেখানে লকডাউনের কারণ দেখিয়ে পুলিশকে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শুধুমাত্র বিজেপির ক্ষেত্রে কেন এই নিয়ম এই প্রশ্ন তুলে ধরে এবার গেরুয়া শিবির যে আরো বেশি করে রাজ্যের প্রশাসনকে দলতন্ত্রযুক্ত বলে দাবি করতে শুরু করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় এবার রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!