এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খুব শীঘ্রই ঢেলে সাজানো হবে তৃণমূলের সংগঠন? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট মন্ত্রী- সাংসদ

খুব শীঘ্রই ঢেলে সাজানো হবে তৃণমূলের সংগঠন? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট মন্ত্রী- সাংসদ

লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত জেলার তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হয়েছিল, সেই সমস্ত জেলার সংগঠনে আমূল পরিবর্তন আনতে দেখা গেছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর বিভিন্ন জেলায় দলের দায়িত্ব পাওয়া নেতানেত্রীরা এবার সেই জেলার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে কি নতুন করে কমিটি তৈরি করতে চলেছেন!

সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের ব্লক থেকে জেলাস্তর অব্দি ব্যাপক রদবদল হতে চলেছে। যেখানে কমিটিকে ছোট করে দক্ষ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। জানা গেছে, সম্প্রতি রানাঘাটে তৃণমূলের সংগঠনে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।

আর এবার রানাঘাটের পর কৃষ্ণনগরেও সাংগঠনিক কিছু পরিবর্তন করা হবে। সূত্রের খবর, শুক্রবার নাকাশিপাড়ায় একটি দলীয় কর্মী বৈঠকে যোগ দেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই দলের সংগঠনে বদল আনার কথা শোনা যায় তার গলায়। তিনি বলেন, “আমি চেষ্টা করছি গ্রাসরুট অব্দি পৌঁছতে। কৃষ্ণনগর জেলা কমিটি আমরা নতুন করে তৈরি করব। আমরা ঠিক করেছি সবাইকে নিয়ে একটা জেলা কমিটি পুনর্গঠন করা এবং ব্লক কমিটি পুনর্গঠন করা। যদি প্রয়োজন হয় কোথাও কোথাও একটা বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি করা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কাউকে বাদ দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। যেখানে যে আছে তাকে মর্যাদা দিয়ে সক্রিয় নেতৃত্বকে তুলে নিয়ে এসে একটা সুন্দর সংগঠন করা হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একই কথা শোনা গেছে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বলাতেও। জানা যায়, গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে নিজের সাংগঠনিক এলাকার বিভিন্ন ব্লক রীতিমতো চষে ফেলেছেন মহুয়াদেবী। এদিন তিনি বলেন, “নতুন করে আমরা জেলা কমিটি সাজাচ্ছি। কুড়ি জনকে নিয়ে কমিটি করা হবে। 80 থেকে 100 জনকে নিয়ে কমিটি করে কোনো লাভ নেই। কোথাও গোষ্ঠীর সমস্যা, কোথাও বুড়ো মানুষ আছেন, তাদের খুশি করার জন্য কমিটিতে রাখা হয়েছে।

কিন্তু এমন কমিটি করা কার্যকরী নয়। নতুন একটা দুটো মুখ রাখতে হবে। আমরা সিনিয়রদের সম্মান দেব, কিন্তু ওভাবে জেলা চালানো যাবে না।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজীববাবু এবং মহুয়াদেবীর কথাতেই স্পষ্ট যে, সাংগঠনিক দিক দিয়ে এখন এই নদীয়াজেলাকে সক্রিয় করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন তারা।

আর তাইতো সক্রিয় এবং পরিশ্রমী নেতাদেরকেই দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যাচ্ছে তাদের। আর তাই জেলা এবং ব্লক কমিটি দু’জায়গাতেই এখন বদলের সম্ভাবনা তৈরি হলে যে সমস্ত নেতারা ওখান থেকে বাদ যাবেন, তারা পরবর্তীতে যে দলে অন্তর্ঘাতের সৃষ্টি করবেন না, তার আশঙ্কা সরিয়ে দিতে পারছেন না কেউই। সব মিলিয়ে দলীয় সংগঠনকে পরিবর্তন করতে মহুয়া মৈত্র এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কোন পথে এগোন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!