প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 18 টি আসন পাওয়ার পর থেকেই দলের সংগঠন শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলাফলের পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেছিলেন, “দলকে একটু কম সময় দিয়েছি। এবার একটু বেশি করে দলকে সময় দেব।”

স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর বাস্তবে দেখা গিয়েছিল মাঝেমধ্যেই দলের বৈঠক করে নেতাকর্মীদের সতর্ক করছেন তিনি। লোকসভার পরে অনেক জেলায় সাংগঠনিক রদবদল করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এবার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বৃহস্পতিবার সাংগঠনিক বৈঠক থেকে একাধিক রদবদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় কমবেশি প্রতিটি জেলাতেই সাংগঠনিক বদল এনেছেন তিনি। যা দেখে হতবাক তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাও। কেননা একসাথে এত জেলায় পরিবর্তন কখনও হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক রদবদল করে নিজের টিম গঠন করে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূলের এই সাংগঠনিক রদবদল যখন শাসকদলের অন্দরমহলে আশার আলো তৈরি করছে, ঠিক তখনই তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন দিলীপবাবু বলেন, “সরকার বদলের সময় হয়ে এসেছে‌। আর মমতা দল সাজাচ্ছেন। এতে কোনো লাভ হবে না। তৃণমূলের ভোট বাড়বে না। গোড়া কেটে দিয়ে আগায় জল ঢালছেন মমতা।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক পরিবর্তন করে দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে মুখ খুলে পাল্টা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হতাশ করে দিতে উদ্যোগী হলেন। তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, যতই সাংগঠনিক পরিবর্তন হোক না কেন, এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না।

অর্থাৎ যার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সংগঠনকে পরিবর্তন করলেন, সেই 2021 এ তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে না্ এদিন আরও একবার সেই কথাই তুলে ধরে তৃনমূলের সাংগঠনিক পরিবর্তনকে তাচ্ছিল্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এখন সত্যি সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাংগঠনিক পরিবর্তনের তৃণমূলের প্রভূত লাভ হয়, নাকি দিলীপ ঘোষের কথা মত ধ্বস নামে তৃণমূলের ভোটব্যাংকে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।