বিজেপির সন্ত্রাস নাকি বাঘের থাবা? জঙ্গলমহলের হারের কারণ অন্বেষনে শাসকদল রাজ্য May 21, 2018 মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া অঞ্চলের আদিবাসী অধ্যুষিত বাঘঘড়া এলাকার মানুষ গত চার মাস যাবত রয়্যাল বেঙ্গলের আতঙ্কে দিন যাপন করেছেন। এমনিতে এই এলাকাতে সারা বছর হাতির উৎপাত লেগেই থাকে। পরিসংখ্যান সূত্রে জানা যাচ্ছে এই এলাকাতে নজরকারাভাবেই জয়লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। যা স্বভাবতই শাসকদলের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। উল্লেখ্য জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৪্টি। যার মধ্যে বিজেপি জয়লাভ করেছে ৮ টি আসনে এবং তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ৬ টি আসনে। যেখানে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফলে চোখ রাখলে দেখা যায় এই ১৪ টি আসনের সব কটিতেই শাসক দল সাফল্য পেয়েছিলো। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এই এলাকার বেশ কয়েকটি আসনে পরাজয়ে বিব্রত শাসক দল এই পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানে উদ্যোগী হলেন। জানা গেছে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত বাঘঘরা সংলগ্ন এলাকায় সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। এমন বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে উঠে আসছে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা। এরমধ্যে অন্যতম হলো বাঘ নিয়ে এলাকায় মিথ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে শাসক দলকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা। প্রসঙ্গত গত কয়েক মাস যাবত বাঘের ভয়ে জঙ্গল নির্ভর এই এলাকার মানুষ জঙ্গলে যেতে না পেরে কোনো রকম উপার্জন না করেই দিন গুজরান করেছে। সরকার বন দফতরের সাহায্যে কোনো সঠিক উপায় বের করতে পারেনি। অবশেষে ঐ এলাকার বাসিন্দা আদিবাসীরা এই বাঘকে হত্যা করে আতঙ্কের সমাপ্তি করে। কিন্তু তারপরে আদিবাসীরা আর শাসক দল কে সমর্থন করেনি তার নমুনা নির্বাচনের ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বললেন, “কী কারণে এমন হল আমরা হিসেব কষতে শুরু করেছি। তবে বিজেপির সন্ত্রাস-সহ বেশ কিছু সমস্যা এটার পিছনে একটা বড় কারণ হতে পারে।” এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস বললেন- “শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না, একাধিক ভাবে বঞ্চিত জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছে।” আপনার মতামত জানান -