দলে জায়গা বদল হতেই পাল্টালো তৃণমূলের স্লোগান, নতুন শ্লোগানেও মত তৃণমূলের কলকাতা মেদিনীপুর রাজ্য June 24, 2019 2011 সালে পালাবদলের পর “বদলা নয়, বদল চাই”, “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” – বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তৃণমূলের সেই স্লোগানও কি এবার বদলাতে শুরু করল! কথাটা আশ্চর্য শোনালেও এটাই সত্যি। দীর্ঘদিন দলের সামনের সারিতে না থাকা মহম্মদ রফিকের নেতৃত্বে কেশপুরের তৃণমূলের মিছিলের স্লোগানে “শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই” স্লোগান শুনতে পেয়ে হতবাক হয়ে গেলেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে তৃনমূলের পরাজয়ের পর জঙ্গলমহলে দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর দায়িত্ব পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই কেশপুরে সেই মহম্মদ রফিকের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। জেলা তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদক পদ পান তিনি। আর দায়িত্ব পেয়েই এদিন কেশপুর ব্লকের নেতাদের নিয়ে প্রথম মিছিল করলেন সেই মহম্মদ রফিক। জানা যায়, 2010 থেকে ছয় বছর কংগ্রেসে থাকলেও গত 2016 সালে তৃণমূল ফিরে এতদিন সাধারণ কর্মী হিসেবেই থাকতে দেখা গেছে এই রফিককে। তবে দলের দুর্দিনে এবার তাকেই জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। অতীতের মতো এখন আর কেশপুরে সিপিএমের অত দাপট নেই। কিন্তু এদিন যখন মহম্মদ রফিকের নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিল চলছিল, ঠিক তখনই কেশপুর সিপিএমের মুখ এন্তাজ আলীর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল জামশেদ আলী ভবনে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তৃণমূলের এই মিছিলে “শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই” স্লোগান শুনতে পাওয়ায় হতচকিত হয়ে উঠেছেন অনেকেই। রাস্তার ধারে সাধারণ মানুষেরা মনোযোগ দিয়ে শেষ স্লোগান শুনলে প্রথমবার তারা ভুল শুনেছে বলে ভাবলেও দ্বিতীয় বার ফের তারা সেই “শান্তি নয় যুদ্ধ চাই” স্লোগান শোনায় রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনা কি ইস্যু করে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “আসলে রফিককে ফিরিয়ে কেশপুরে সন্ত্রাস তৈরি চেষ্টা করছে তৃনমূল। কিন্তু এইভাবে ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে চুপ করানো যাবে না।” অন্যদিকে “কেশপুর এবার তৃণমূলের শেষপুর হবে” বলেও স্লোগান দিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কেন তারা হঠাৎ শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই বলে স্লোগান দিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে মহম্মদ রফিক বলেন, “বুনো হাতি খাবারের খোঁজে গ্রামে এসে তান্ডব করলে গ্রামের মানুষ হুলা জ্বালিয়ে তাদের তারায়। বিজেপি গ্রাম দখলের চেষ্টা করলে সেটাই করা হবে। আসলে দুই একজন ভুল করেও ওই স্লোগান দিয়ে ফেলেছে।” অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়ে কেশপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে মানুষ উপযুক্ত জবাব দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি। সব মিলিয়ে এবার দলের নেতৃত্বে আসতেই “শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই” স্লোগান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন মহম্মদ রফিক। আপনার মতামত জানান -