এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের শুদ্ধিকরণ! হেভিওয়েটদের শো-কজেই থমকে প্রক্রিয়া! অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রশ্ন দলের অন্দরেই

তৃণমূলের শুদ্ধিকরণ! হেভিওয়েটদের শো-কজেই থমকে প্রক্রিয়া! অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রশ্ন দলের অন্দরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে তৃণমূল শুদ্ধিকরণের রাস্তায় হাঁটছে। ভয়াবহ দুর্যোগের পর মানুষকে সাহায্য করার টাকা তৃণমূলের অনেক ছোটো, মেজো নেতাদের পকেটে চলে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এক্ষেত্রে বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চাপ যাতে না আসে, তার জন্য দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিল শাসকদল। আশা করা হয়েছিল, এর ফলে হয়ত তৃণমূলে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। কিন্তু দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও বা বাস্তবে ব্যবস্থা নিলেও, আদৌ সেই সমস্ত নেতারা সত্যিই প্রকৃত শাস্তি পেয়েছেন কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, হুগলি জেলায় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই সমস্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার কোনো হদিস নেই। যার ফলে বিরোধীদের তরফ থেকে যেমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, ঠিক তেমনই দলের একাংশ দলের শৃঙ্খলা নিয়ে চুপিসারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে চন্ডীতলা 2 ব্লকের গরলগাছা পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধান মনোজ সিংহকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোজবাবু তা না করায় দলের পক্ষ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এর পাশাপাশি আরও বাকি তৃণমূল নেতারা কেন দুর্নীতি করেছে, তার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কোনোরকম জবাব দেননি।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, এই সমস্ত অভিযুক্তরা জবাব না দেওয়া সত্বেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বললেও, বাস্তবে যে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না, সেই ব্যাপারে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ফলে তৃণমূলের মুখে এই হম্বিতম্বি বিষয়টা নিয়ে রীতিমত অনেকের কাছেই তা সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাহলে কি শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্যই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে বাস্তবে তারা কাজের কাজ কিছুই করছে না? এখন এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, “তৃণমূলে আবার শোকজ? তার আবার ব্যবস্থা? হাজারো দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে ওদের নেতারা মন্ত্রী-সান্ত্রী হয়ে গেল।” একইভাবে এই ব্যাপারে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, “তৃণমূলে আবার দলীয় ব্যবস্থা? একটা দামী শিশু গাছ পড়ে আমার বাড়ির পাঁচিল ভাঙ্গল। ওরা সেই গাছটাও বেচে দিল।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধীদের কাছে প্রশ্ন তোলার মত কোনো বিষয়ই থাকত না, যদি তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযুক্ত ছয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রমাণ করে দিত যে, তারা দুর্নীতিকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ছয় নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিরোধীরা যে শাসক দলকে আরও চেপে ধরবে এবং তার ফলে যে আরও বিড়ম্বনায় পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন এখনও পর্যন্ত ছয় নেতার বিরুদ্ধে তারা ব্যাবস্থা নিতে পারল না? এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “পুরো প্রক্রিয়াটাই সংগঠনগতভাবে চলে। আমাকে যেমন ওরা চিঠির উত্তর দিয়েছেন, একইভাবে আমিও দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পুরো বিষয়টা রেখেছি। পুরো প্রক্রিয়া আলোচনার মধ্যেই আছে।”

আর এখানেই একাংশ বলছেন, আলোচনা করতে করতে যদি আলোচনার আলোই নিভে যায়, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল যতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলুক, আদতে নেতারা দুর্নীতি করবেন, আর তারা বহাল তবিয়তে বিরাজ করবেন শাসকদলের অন্দরমহলে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে তৃণমূল সম্পর্কে বিশ্বাস তখন যে আরও ফাটল ধরবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তাই দলের হিতের কথা চিন্তা করে তৃণমূল নেতৃত্ব শুধু মুখে নয়, কাজে কতটা পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেখাতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলে

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!