এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের ‘শুদ্ধিকরণ’ আদতে কি ‘লোক দেখানো’? কঠিন প্রশ্নে সরগরম শাসকদলের অন্দরমহল!

তৃণমূলের ‘শুদ্ধিকরণ’ আদতে কি ‘লোক দেখানো’? কঠিন প্রশ্নে সরগরম শাসকদলের অন্দরমহল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আম ফান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তে অনিয়ম এবং কাটমানি খাওয়ার জন্য দুর্নীতিগ্রস্ত হুগলির ছয় নেতাকে শোকজ করেছে তৃণমূল দল। তৃণমূল দলের ভাবমূর্তি উদ্ধারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে যারা অভিযুক্ত নেতারা তাদের লিখিত বক্তব্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জানিয়েছিল তার এক সপ্তাহ পরেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট না হওয়ার দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছে। এরই মাঝে বিরোধীরা কিন্তু উঠে পড়ে লেগেছে শাসকদল কে চাপে ফেলতে. তৃণমূলের এই সাফাই অভিযান যে সম্পূর্ণ লোক দেখানো ভাওতাবাজি তা কিন্তু বলতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি নেতারা।

হুগলির যে 6 নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাদেরকে গত 27 জুন শোকজ করা হয়েছিল তারা হলেন আরামবাগের আরান্ডি 1 পঞ্চায়েতের প্রধান সোহরাব হোসেন শ্যামা পুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল খানাকুল 1 নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল এর কার্যকরী সভাপতি শেখ সাকিম দাদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাকির হোসেন মন্ডল এবং পঞ্চায়েত সদস্য রুপম ভাবক ধোনেখালি তৃণমূল নেতা রমজান আলী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব তাদের শোকজের সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে জানা গেছে যে ওই ছয় নেতারা যাদেরকে শোকজ করা হয়েছিল তারা শোকজের জবাব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জেলার নেতৃত্তের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্ব সেটি নিয়মমাফিক রাজ্য নেতৃত্ব এর কাছে পাঠিয়ে দেন কিন্তু তারপরে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কিন্তু জেলার নেতারা কোনরূপ কিছু জানাননি. তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বক্তব্যে বলেছিলেন ওই ছয়জনের শোকজের জবাব রাজ্য নেতৃত্তের কাছে পাঠানো হয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবেন।

তবে এদিকে জানা যাচ্ছে যে একজন তৃণমূলের একজন নেতা বলেছেন হুগলি সমেত রাজ্যের সমস্ত 70 জন দলীয়নেতা এবং পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে. ওই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য আম্বানি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে এই অনিয়মের অভিযোগে চন্ডীতলা 2 নম্বর ব্লকের গরলগাছা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মনোজ সিংহ কে পদত্যাগ করতে বলেছিল তৃণমূল।

তিনি তা মানতে রাজি না হওয়ায় দল তাকে বহিষ্কার করেছে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত ওই বাকি ছয় নেতার সম্পর্কে কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি এটি কিন্তু দলের ভাবমূর্তি এবং দলের স্বচ্ছতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠিয়ে আনছে। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেছেন ওদের এই পদক্ষেপ পুরোটাই লোকদেখানো ব্যাপার অন্যায়ের বিরুদ্ধে শাস্তির পদক্ষেপ বলতে যা বোঝায় তা ওরা নিতে পারবেন না।

এছাড়া শ্রীরামপুরের বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু বলেছেন ওদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি শাস্তি দিতে গেলে গোটা দলটা উজার হয়ে যাবে ওরা কত জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেবেন?
বিরোধীদের এই সমস্ত কথা জবাব দিতে দিলীপ যাদব বলেছেন আমরা নির্দিষ্ট সাংগঠনিক বিধি মেনে চলি যা করার রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!