এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুর তৃণমূলে বিদ্রোহের কারণ অভিষেক-পিকে ? সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য!

শুভেন্দুর তৃণমূলে বিদ্রোহের কারণ অভিষেক-পিকে ? সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দলের মধ্যে বহুদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে শুভেন্দু অধিকারী থাকবেন নাকি বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলকে জোর টক্কর দেবেন, সেই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। বস্তুত বিভিন্ন সমালোচকদের মতে শুভেন্দু অধিকারী বিগত তিনমাস ধরে সমান্তরাল জনসংযোগ এবং প্রচার এর মাধ্যমে এটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি একাই বাংলার শাসনকর্তা হয়ে উঠতে পারেন।

আর এক্ষেত্রে তাঁর যে সে ক্ষমতা আছে, সেকথাও যে তৃণমূল বিশেষ ভালো রকমই জানে বলে বলতে শোনা গিয়েছিল অনেক বিশেষজ্ঞদের। কারণ তাঁদের মতে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলকে এই জায়গায় নিয়ে আসার পেছনে শুভেন্দু অধিকারীর মত মন্ত্রীর যে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে সে কথা অস্বীকার করা যায় না। তাই তৃণমূল বর্তমান পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর মতো একজনকে দলে রাখতে চাইবে সে কথাই মনে করেছেন বহু বিশ্লেষক।

তাই যেখানে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর মন কষাকষির জল্পনা শুরু হওয়ার পরে কংগ্রেস, বিজেপি, এমনকি সিপিএম থেকেও তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য ডাক এসেছে, সেখানে বিনা প্রচেষ্টায় তৃণমূল এমনভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে দল ছাড়তে দেবেন, সে কথা মানেননি অনেকেই। তবে গতকাল ভাতৃদ্বিতীয়ার দিনই তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতার বৈঠকে বসার খবর পাওয়া গেছে। যা নিয়ে আপাতত চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গতকাল তৃণমূলের এক বর্ষিয়ান সাংসদের গোপন বৈঠক হয়েছে। যেখানে বিশেষজ্ঞরা এই বৈঠকের ফলাফল স্বরূপ তৃণমূলের প্রতি পরিবহণমন্ত্রীর ইতিবাচক মনোভাবই আশা করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবুও অনেক সংবাদমাধ্যমের মতেই এদিন তিনি সাংসদের বৈঠকে নিজের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যার ফলে আস্তে আস্তে তৃণমূলের প্রতি তাঁর ক্ষোভ কমতে শুরু করেছে বলেই মনে করেছেন অনেকে।

এমন পরিস্থিতিতে কি ছিল সেই বৈঠকের সম্ভাব্য কথোপকথন? নানা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন নাকি শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নেত্রী হিসেবে মান্যতা দিয়ে ফের প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন। আর তাতেই নাকি তাঁর কথায় এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, অভিষেক যে পথে দলকে নিয়ে যাচ্ছে সেটা ঠিক নয়।

শুভেন্দু অধিকারী নাকি সেই পথকে ধ্বংসের পথ বলেই মনে করেছেন। যা থেকে দলকে সরিয়ে আনতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে তৃণমূলের পতন অবশ্যম্ভাবী বলেই নাকি জানিয়েছেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে নানা সংবাদমাধ্যমের মতে, শুভেন্দু অধিকারী ওই সাংসদকে নাকি জানিয়েছেন, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সুব্রত বক্সিদের নেতৃত্ব থাকবে, ততদিন তাঁর কাজ করতে কোনও অসুবিধা নেই।

কিন্তু প্রশান্ত কিশোর-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা যেভাবে দল চালাচ্ছেন, তাতে তাঁর কাজ করা সম্ভব নয়। এরপরই নাকি তৃণমূলের সাংসদ শুভেন্দুকে আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানা গেছে। সেইসঙ্গে তাঁর বার্তা তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দেবেন বলেও জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এরই মধ্যে তৃণমূলের আরও এক সাংসদ মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে চলেছেন বলে জানা গেছে।যদিও এই নিয়ে মুখ খোলেনি কোনো পক্ষই। তাই আপাতত তৃণমূলের এই জোড়া প্রচেষ্টা আপাতত শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল ধরে রাখতে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!