“তৃণমূলী” শিক্ষকরা দলীয় প্রচারের অজুহাতে ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি নিতেই দায় ঝেড়ে ফেলল দল কলকাতা রাজ্য April 17, 2019 সম্প্রতি ভোটের ডিউটি থেকে নাম কাটানোর জন্য রাজ্যের শিক্ষকদের একাংশের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। যার কারণ হিসেবে তৃণমূলপন্থী সংগঠনের শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছিল যে, ভোটের প্রচারে তাদের অংশগ্রহণ করতে হবে। তাই সরকারি ডিউটিতে তাদের পক্ষে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়।আর এই ঘটনা নিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি কৃষ্ণকলি বসুকে। সম্প্রতি এই ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই গোটা ঘটনাটি থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দেন। আর এবার কৃষ্ণকলি দেবীর পথে হেটেই তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠনের অনেকেই ভোটের ডিউটিতে অংশগ্রহণ না করায় কার্যত সেই সমস্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সুবিধাবাদী বলেই আখ্যা দিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। আর এই ঘটনা নিয়ে এখন সমস্ত মহলে তীব্র গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “যারা ভোটের প্রচারের জন্য ডিউটি থেকে ছাড় দেওয়ার কথা বলছেন, খোঁজ নিলে দেখা যাবে এরা দলের কোনো হোমযজ্ঞে লাগে না। খুব জোর এনারা সমর্থক হতে পারেন। প্রথম দফা কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে আমাদের সংগঠনের সভাপতিরা পর্যন্ত ভোটের ডিউটি করেছেন। দক্ষিণের জেলাগুলোতেও একই ছবি। যারা সত্যি দলকে ভালবাসেন তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে বিরোধীদের ব্যর্থ করবেন। ভোটের দিন অন্তত এভাবে নিরুপদ্রবে বাড়িতে বসে অন্তত আরাম করে দিন কাটাবেন না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের ডিউটিতে ছাড় পাওয়ার কারণ হিসেবে তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠনের অনেক সদস্য নিজের দলের প্রচার করার কথা বললে বিরোধীদের তরফে দাবি জানানো হয় যে, রাজ্যে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সন্ত্রাস হয়েছিল সেখানে রাজকুমার রায়ের মতো ভোট কর্মীকে খুন হতে হয়েছিল। আর তাই সেই অতীতের করুন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শাসক পন্থী শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরাও ভয় পেয়ে “দলের প্রচার আছে বলে” ভোট প্রক্রিয়া থেকে নিজেদেরকে ব্রাত্য রাখতে চাইছেন। আর বিরোধীদের এহেন মন্তব্যের পরেই কিছুটা হলেও চাপে পড়ে শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বরা। আর তাই এবার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এই ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহত চাওয়া তৃনমূলের শিক্ষকসংগঠনের একাংশকে সুবিধাবাদী বলে আখ্যা দিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আপনার মতামত জানান -