এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > তৃণমূল থেকে ব্যাপক সংখ্যায় সদস্য বিজেপিতে আসতেই বিজেপিতে শুরু হলো আদি বনাম নব্যের লড়াই

তৃণমূল থেকে ব্যাপক সংখ্যায় সদস্য বিজেপিতে আসতেই বিজেপিতে শুরু হলো আদি বনাম নব্যের লড়াই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূলের বেশকিছু বিধায়ক, সাংসদ, গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী যোগদান করেছেন বিজেপিতে। তারপর থেকেই বিজেপিতে ব্যাপক হারে চলছে যোগদান পর্ব। এদিকে ব্যাপক হারে তৃনমূল সদস্য বিজেপি আসার পরই বিজেপিতে নানা স্থানে শুরু হয়েছে আদি বনাম নব্যের লড়াই। যে লড়াইয়ে প্রকাশ্যে এসে পড়ছে দলের গোষ্ঠীকোন্দল।

গতকাল সোমবার দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশডিহা ময়দানে বিজেপি যোগদান মেলা কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও ব্যারাকপুরের বিজেপি সংসদ অর্জুন সিং প্রমুখরা এসেছিলেন। কিন্তু গতকাল বিজেপির এই দুই সাংসদ উপস্থিত হবার পূর্বেই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।

গতকাল নব্য বিজেপি সদস্যরা মঞ্চের দিকে এগিয়ে এলে তাদের বাধা দিলেন বিজেপির আদি সদস্যরা। দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে, তারপর শুরু হয় মারামারি, হাতাহাতি। মঞ্চের চেয়ার-টেবিল ভাঙ্গা হয়। এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি সভাপতি অমিত যাদব অভিযোগ করেছেন যে, দীর্ঘ সময় যারা তৃণমূলের দুষ্কৃতী ও কয়লা মাফিয়া তাদের নেওয়া হচ্ছে বিজেপিতে। তিনি অভিযোগ করেছেন, যাদের হাতে একদিন বিজেপির কর্মীরা মার্ খেয়েছেন, তাদেরকে বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছেন জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘড়ুই এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, তৃণমূলের চক্রান্তেই গতকালের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির কেউ যদি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবার, গতকাল রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের মকরামপুর দেখা দিল বিজেপির আদি বনাম নব্যের লড়াই। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের কার্যালয়ে হামলা হলো। এই কার্যালয়ে বিজেপির পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে। শুভেন্দু অনুগামীদের কার্যালয়ে বিজেপির পতাকা লাগালে বিজেপির আদি কর্মীরা প্রচন্ড ক্ষুব্দ হন। প্রথমে শুরু বচসা। তারপরে শুরু হয় মারামারি-হাতাহাতি।

শুভেন্দু অধিকারীর ছবি, পোস্টার, ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয়া হয়। প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে অনুগামীদের বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আহত অবস্থায় একজন অনুগামীকে ভর্তি করা হয়েছে মকরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বিজেপির আদি কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, এরা কেউ বিজেপি দলের সদস্য নন। বিজেপিতে যোগদানের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে, তারা সেই পদ্ধতি মেনে বিজেপিতে যোগদান করেননি।

তবে, এ প্রসঙ্গে নারায়ণগড় উত্তর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি সত্যজিৎ দে জানালেন যে, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নন। তৃণমূলই এই কান্ড ঘটিয়েছে। তবে কেউ বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে তাকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে যোগদান করতে হবে। এভাবে গতকাল একাধিক স্থানে দেখা গেল বিজেপির আদি বনাম নব্যের লড়াই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!