এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরে চরম দ্বন্দ্ব, অস্বস্তিতে শাসকদল!

তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরে চরম দ্বন্দ্ব, অস্বস্তিতে শাসকদল!

পৌরসভা নির্বাচনে ভালো করে লড়া অপেক্ষা, কারা প্রার্থী হবেন, তা নিয়েই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সূত্রের খবর, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর, সোমবার তৃণমূলের পার্টি অফিস অলোক নন্দী ভবনে দিনহাটা পৌরসভার 16 টি ওয়ার্ডের সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন প্রাক্তন শহর তৃণমূল সভাপতি তথা দিনহাটা বিধানসভার আহ্বায়ক অসীম নন্দী‌। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা দিনহাটা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহকে।

আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। জানা গেছে, তৃণমূলের এই বৈঠকে পুরনো কর্মীরা যাতে এবার প্রার্থী হন, তার জন্য দাবি জানানো হয়। এমনকি সদ্য বাম বা অন্য দল থেকে আসা ব্যক্তিদের যাতে প্রার্থী না করা হয়, তার ব্যাপারেও নানা প্রসঙ্গ ওঠে এই বৈঠকে। একাংশের মতে, এবার দিনহাটা পৌরসভা নির্বাচনে অনেক দল থেকে আসা নেতাকর্মীরা তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বিগত দিনে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তৃণমূলের তরফে দুর্দিনের নেতাকর্মী অপেক্ষা নতুন দলে আসা নেতাকর্মীদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাই এবার যাতে সেরকম কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আগেভাগেই বৈঠকে আলোচনা করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেই মনে করছে একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কি কারণে বৈঠক হলো এদিন এই প্রসঙ্গে অসীম নন্দী বলেন, “16 টি ওয়ার্ডের সভাপতিদের সঙ্গে পৌরভোট নিয়ে বৈঠক করা হয়। একজন বাদে সকলেই ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যারা আমাদের দলের প্রতীকে ভোটে লড়বেন, তাদের হয়ে জোরদার প্রচার করে প্রার্থীকে জিতিয়ে নিয়ে আসতে হবে। প্রার্থী নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।” একইভাবে বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও, তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন দিনহাটা পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ। এদিন তিনি বলেন, “কাকে প্রার্থী করা হবে, কাকে করা হবে না, এরকম কোনো আলোচনা হয়নি। যাকে প্রার্থী করবে তার জন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে‌। তাছাড়া প্রার্থী নেতৃত্ব ঠিক করবে। সব দিক বিচার করে, গ্রহণযোগ্যতা দেখে প্রার্থী করবে দল। তাই এসব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।” তবে প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করা হলেও, এই ব্যাপারে তৃণমূলকে চাপে রাখতে চাইছে বিরোধী দল বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুদেব কর্মকার বলেন, “এবারের ভোটে তৃণমূলকে কেউ ভোট দেবে না। তৃণমূলের যেই প্রার্থী হোক না কেন, বিজেপির কাছে হারতে হবে‌। দলবদল করে তৃণমূলে গিয়ে চেয়ারম্যান শহরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই এবার ওনাকে কেউ ভোট দেবে না।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!