এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সৌমিত্র, সায়ন্তনের পর এবার সুভাষের তোপের মুখে বুদ্ধিজীবীরা, জোর সোরগোল!

সৌমিত্র, সায়ন্তনের পর এবার সুভাষের তোপের মুখে বুদ্ধিজীবীরা, জোর সোরগোল!

 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই তার চরম বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে এবং এই ইস্যুর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে বাংলার একাংশ বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়কেও। কাগজ আমরা দেখাবো না বলেও স্লোগান তুলেছেন তারা আর বুদ্ধিজীবীদের একাংশ কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধিতা করায়, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে তাদের প্রবল কটূক্তি করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের।

এক্ষেত্রে সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে সায়ন্তন বসুর মত বিজেপি নেতারা কখনও বাদরের সঙ্গে, আবার কখনও কুকুরের সঙ্গে বুদ্ধিজীবীদের তুলনা করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কটুক্তি নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু এই ব্যাপারে প্রশ্ন উঠলেও, তারা যে বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করতে ছাড়বেন না, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির হেভিওয়েট সাংসদ সুভাষ সরকার। সূত্রের খবর, সোমবার পৌরসভা ভোটের প্রচার এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বাঁকুড়া শহরের কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন সেখানকার বিজেপি সাংসদ সেখানেই বুদ্ধিজীবীদের একাংশ “ধান্দাজীবি” বলে আক্রমণ করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই ব্যাপারে সুভাষ সরকার বলেন, “এখন মানুষই বলছেন ওরা বুদ্ধিজীবী নন, ধান্দাজীবি। মানুষ সব বুঝে গেছেন।” আর বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণের পাশাপাশি এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “বাঁকুড়া পৌরসভায় কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। শুধু ভাগাভাগি হয়েছে। আমরা আশা রাখি, বাঁকুড়া পৌরসভার 24 টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবকটিতেই আমরা জয়লাভ করব এবং বিজেপি পৌরসভা গঠন করবে।”

পাশাপাশি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার পৌরসভার উন্নয়নের জন্য অনেক টাকা দিলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস কাটমানি নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সুভাষ সরকার। বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি, আর অন্যদিকে উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে সাধারণ মানুষের কাছে কাছে পৌঁছে যেতে শুরু করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ।

কেননা তাদের লক্ষ্য আগামী 2021 এ বাংলার ক্ষমতা দখল করা। কিন্তু তার আগে পৌরসভায় যে ভালো ফল করতে হবে, তা ভালোই জানে ভারতীয় জনতা পার্টি‌। আর তাইতো এখন থেকেই এনআরসি নিয়ে সাধারন মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে এবং তৃণমূলকে চাপে রাখতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়া শুরু করলেন এই বিজেপি সাংসদ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!