এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূলকে নির্বাচনে হারিয়ে বড় জয় পেল বিজেপি, চাপ বাড়ছে শাসকদলের দাবি গেরুয়া শিবিরের

তৃণমূলকে নির্বাচনে হারিয়ে বড় জয় পেল বিজেপি, চাপ বাড়ছে শাসকদলের দাবি গেরুয়া শিবিরের

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যে পদ্মের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে যখন জেলায় জেলায় দলীয় সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করার নির্দেশ দিচ্ছে তৃণমূল ভবন, ঠিক তখনই সমবায় নির্বাচনে সেই শাসকদল তৃণমূলকেই পর্যুদস্ত করে দিল গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, রামনগর 1 ব্লকের বাঁধিয়া পঞ্চায়েতের উত্তর বাঁধিয়া সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির 12 টি আসনের মধ্যে সব কটিতেই তৃণমূলকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। আর যা দেখে গেরুয়া শিবিরের দাবি, এটা লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতাদের একটা ট্রেলার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই অঞ্চলে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বেশ ভালো ফল করেছিল বিজেপি। এমনকি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রবল সন্ত্রাসের অভিযোগও উঠেছিল। যদিওবা সেই সমস্ত কিছু অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। আর এরপর গতকাল সেই সমবায় সমিতির নির্বাচনে নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল পদ্ম শিবিরের নেতারা।

জানা গেছে , এদিন সকাল থেকেই এই নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত ছিল এলাকা। মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। সন্ধ্যের পর ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা যায় যে, 12 টির মধ্যে 12 টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর এরপরই উল্লাসে ফেটে পড়েন সেখানকার বিজেপি প্রার্থীরা।

দলীয় সূত্রের খবর, এই জয়ীদের মধ্যে রয়েছেন বিবেক মাইতি, বিদ্যুৎ মাইতি, বঙ্কিম জানা, বিকাশ চন্দ্র পয়ড়া, হেমন্ত মন্ডল, হেমন্ত নায়ক, রাখাল চন্দ্র সাউ, সঞ্জীব গিরি, তপন কুমার জানা, প্রমিলা ভুইয়া, সন্ধ্যারানী শীট এবং মদনমোহন শীট।

এদিন দলের এই জয় প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন মাইতি বলেন, “মানুষ তাদের রায়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃনমূলের উপর তাদের আস্থা উঠে যাচ্ছে। তৃণমূল এই ভোটের আগে আমাদের জয়ী পার্থী বিবেক মাইতির ওপর আক্রমণ করেছিল। ওরা যত আক্রমণ করবে বিজেপি তত শক্তিশালী হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে এই আক্রমণের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূলের নেতারা। তবে সারাবাংলায় যখন ঘাসফুলের এহেন দাপট তখন এই সামান্য সমবায় নির্বাচনে কেন এভাবে হারতে হল তৃণমূলকে? রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এলাকায় শাসক দলের নেতৃত্বদের ঔদ্ধত্যের জন্যই এই পতন হয়েছে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সামান্য সমবায় নির্বাচনে শাসকদলের হার নিঃসন্দেহে তৃনমূলের শীর্ষনেতৃত্বের কাছে মাথাব্যথার কারণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!