এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কি রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে চলেছে? সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ

এবার কি রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে চলেছে? সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ

 

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল ভালো ফল করতে পারেনি। 42 এ 42 এর স্লোগান তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপির উত্থানে 22 টি আসনেই আটকে যেতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের দাপটে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলায় রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গেরুয়া শিবিরের দিকে পড়েছে।

ভোট ফলাফল পর্যালোচনায় সেই রাজবংশী সম্প্রদায়ের সমর্থন যে তারা পায়নি, তা তৃণমূলের অন্দরমহলে উঠে এসেছে। ইতিমধ্যেই সেই ভোটব্যাংকে মেরামতি করতে নানা চেষ্টা শুরু করেছে শাসকদল। তবে এবার সেই রাজবংশী সম্প্রদায়ের তরফে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠায় তৃণমূল বড়সড় বিপাকে পড়তে চলেছে বলে বত রাজনৈতিক মহলের।

জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের গ্রামীণ এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলি থেকে শিক্ষক তুলে নিয়ে শহরের স্কুলগুলিতে বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে রাজবংশী ক্ষত্রিয় শিক্ষক সমিতি। অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং স্কুল কমিটিগুলোতে কোনো রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের রাখা হয়নি।

আর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সেই রাজবংশী ক্ষত্রিয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

 

বস্তুত, বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের 840 টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু সেই স্কুলের সংখ্যার তুলনায় প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা খুবই কম। বর্তমানে শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাব মেটাতে নানা রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজবংশী অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার ব্লকের উত্তর কামসিংয়ের একটি প্রাথমিক স্কুল থেকে এক শিক্ষককে জেলা সদরের একটি স্কুলে বদলি করে দেওয়া শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।

এইভাবে আদতে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজবংশী ক্ষত্রিয় শিক্ষক সমিতির আলিপুরদুয়ার শাখার সভাপতি চক্রধর রায় অধিকারী বলেন, “আলিপুরদুয়ারের গ্রামীণ এলাকার বহু প্রাথমিক স্কুল থেকে শিক্ষকদের তুলে নিয়ে শহরের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করে নালিশ জানিয়েছি। বিষয়টিকে লোকজনের কাছেও জানিয়েছি। আমরা এর প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠাচ্ছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের রাজবংশী ভোট না হওয়ার পেছনে এই সমস্ত কারণই ছিল। তবে ভোটের ফলাফল মেটার পর যখন সেই রাজবংশীদের অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগী হচ্ছে তৃণমূল, ঠিক তখনই শিক্ষক সংক্রান্ত এই ধরণের অভিযোগ তাদের অত্যন্ত সমস্যায় ফেলে দিল। যদি রাজবংশী সম্প্রদায়ের দাবি মেনে তৃণমূল এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী না হয়, তাহলে আসছে দিন তাদের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!