এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিয়রেই ভোট, নিজেদের শক্তি যাচাইয়ে মাঠে নামল তৃণমূল – জেনে নিন

শিয়রেই ভোট, নিজেদের শক্তি যাচাইয়ে মাঠে নামল তৃণমূল – জেনে নিন

বহুদিন ধরেই রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট হয় না। যার ফলে শিক্ষা তৈরীর কারখানা থেকে ছাত্রনেতাও তৈরি হয় না আর। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র কাউন্সিল গঠনের কথা বললেও বরাবরই ছাত্রভোটের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনকে। কিন্তু বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভোট না হওয়ায় কার্যত হতাশা সৃষ্টি হয়েছে ছাত্ররাজনীতি পিপাসুদের মধ্যে।

দাবি, কলেজগুলিতে টাকার বিনিময় অনার্সে ভর্তি করার নামে যেভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছে, তাতে যদি এখন নির্বাচন হয়, তাহলে তাদের পরাজয় স্বীকার করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তাই সেদিক থেকে বাঁচতেই সরকারপক্ষ নিজের দলের ছাত্র সংগঠনকে বাঁচাতে এই নির্বাচনকে এড়িয়ে যেতে চাইছে।

কিন্তু বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হলেও সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সাথে বৈঠক করে তাদের মতামত দিয়েছেন। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, বেশিরভাগ ছাত্র সংগঠনই নির্বাচিত ছাত্রসংসদের পক্ষে সওয়াল করেছে। তাই ছাত্র কাউন্সিল নয়, নির্বাচিত ছাত্রসংসদ হবে। তবে কবে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি শিক্ষামন্ত্রী।

কিন্তু ছাত্রভোট যখন হবে, তাহলে তা যে খুব একটা বেশি দেরি হবে না এবং দেরি হলে যে তা সরকারপক্ষের বিরুদ্ধে যাবে, তা বুঝতে পেরে এবার কলেজে কলেজে নিজেদের শক্তি যাচাই করার উদ্যোগ নিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে একটি অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে শাসক দলের ছাত্রসংগঠন। যেখানে বিভিন্ন রকম প্রশ্নমালা তৈরি করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার টিএমসিপি নেতৃত্বের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মূলত, কলেজে কলেজে টিএমসিপির কতটা শক্তি, কোন জায়গায় বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে! সেই বিষয়ে বিশদ প্রশ্নমালার উত্তরে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

পাশাপাশি প্রত্যেকটি কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্র প্রতিনিধিদের নাম থেকে শুরু করে, ফোন নম্বর, বিভিন্ন কলেজের টিএমসিপি ইউনিট এবং তিনজন করে প্রিয় শিক্ষক, কলেজ অধ্যক্ষ ও পরিচালন সমিতির সদস্যদের ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্নমালায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাংশের মতে, 2020 সালে রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্রভোট হতে পারে। তাই তার আগে সংগঠনের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের কতটা আগ্রহ রয়েছে এবং কোন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কোন অবস্থায় রয়েছে, নির্বাচনে সাফল্য পেতে গেলে ঠিক কিভাবে সেইখানে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে! তা জানতে আগেভাগেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

একাংশের মতে, বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সাফল্য পাওয়ার পর রাজ্যের কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতেও সংঘ ঘনিষ্ঠ ছাত্রসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। যার জন্য ধীরে ধীরে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বদলে জায়গা করে নিচ্ছে এবিভিপি। আর তাতে কিছুটা চাপে পড়েই এখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতৃত্ব জেলায় জেলায় সাংগঠনিক ভিত কতটা মজবুত রয়েছে, তা জানতে এই প্রশ্নমালা তৈরি করে পাঠাচ্ছে বলে মত সমালোচক মহলের।

কিন্তু এতসব করেও কি সংগঠনকে ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ! কারণ যেখানে অর্থের বিনিময়ে প্রায়ই টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে, সেখানে নিরপেক্ষ ভোট হলে যে অনেক আসনেই জয়লাভ সম্ভব নয়, তা বুঝতে বাকি নেই শাসক দলের একাংশের।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “সংগঠনের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়।” তবে তৃণাঙ্কুরবাবু কোনো মন্তব্য না করলেও সাংগঠনিক হাল ফেরাতে জেলা নেতৃত্বের কাছে রাজ্য নেতৃত্বের এই প্রশ্নমালা পৌঁছলেও শেষ পর্যন্ত কলেজ ভোটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কটা কলেজ ধরে রাখতে পারে! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!