এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপির – কোথাও নেই বাম- কংগ্রেসের দেখা – প্রমাণ হয়ে গেল প্রথম দিনেই

লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপির – কোথাও নেই বাম- কংগ্রেসের দেখা – প্রমাণ হয়ে গেল প্রথম দিনেই

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের অনেক আসনেই চতুর্মুখী লড়াই হবে বলে রাজনৈতিক মহলের তরফে মনে করা হলেও গতকাল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনেই কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে মূল লড়াই হতে দেখা গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে। আর সেদিক থেকে বাম এবং কংগ্রেস কার্যত অপ্রাসঙ্গিকই রয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

প্রসঙ্গত, এই কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে একসময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি থাকলেও এবারের নির্বাচনে তাদেরকে আর সেইভাবে দেখাই গেল না। একই অবস্থা কংগ্রেসেরও। অনেক বুথে বিরোধীরা এজেন্ট দিতে পারেনি বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই শাসক দল তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, আসলে দলীয় সংগঠনের দুর্বলতা ঢাকতেই বিরোধীরা যখন এজেন্ট দিতে পারছে না, ঠিক তখনই তারা শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।

এদিন কোচবিহারের বিভিন্ন বুথে বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের পাশাপাশি বসে থেকে চা, বিস্কুট পরস্পর ভাগ করে খেতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ বুথেই তারা এজেন্ট দিতে পারেনি বলে এদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা সিপিএমের সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অনন্ত রায় বলেন, “আমাদের এজেন্টরা সকালেই বসতে গিয়েছিলেন। তৃণমূল ধমক দিয়ে বের করে দিয়েছে। জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের সৃষ্টি হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে নাম না করে তৃণমূল এবং বিজেপিকে ষাড় বলে কটাক্ষ করে কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “আমরা অধিকাংশ বুথে নির্বাচনী এজেন্ট দেব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু বাজারে দুই ষাঁড়ের মধ্যে লড়াই বাধলে শান্তিপ্রিয় ব্যবসায়ী উঠে পালান। এবারের নির্বাচনে সেটাই হয়েছে।”

তবে বেশিরভাগ বুথে এজেন্ট না দেওয়ার জন্য শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি সরব হলেও আদতে এই এজেন্ট না দেওয়ার পেছনে বিজেপির সংগঠন অনেকটাই দুর্বল রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তবে শুধু কোচবিহার নয়, এদিন আলিপুরদুয়ারেও বাম এবং কংগ্রেস সমর্থকদের সেইভাবে দেখা যায়নি।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি গজেন বর্মন বলেন, “আমরা সমস্ত বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারিনি। যতটা পেরেছি পোলিং এজেন্ট দিয়েছি।” অন্যদিকে এই পোলিং এজেন্ট না দেওয়ার পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতাকে স্বীকার করে নিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা সিপিএমের সম্পাদক মৃণালকান্তি রায়। সব মিলিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে মূল লড়াই হলেও কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে সেইভাবে দেখাই গেল না বাম এবং কংগ্রেসকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!