এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > দিলীপ ঘোষকে উড়িয়ে দেওয়া গেলে ছাড় নেই অধীর চৌধুরীরও! কোমর বাঁধছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা

দিলীপ ঘোষকে উড়িয়ে দেওয়া গেলে ছাড় নেই অধীর চৌধুরীরও! কোমর বাঁধছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা


খড়গপুর জয় করে যেন নতুন উদ্যম পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। উদ্যমের পরিমাণ এমন যে এবার অধীর চৌধুরীর গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলাতেও পৌরসভা ভোটে রীতিমতো ভালো পারফর্ম্যান্স করার আশা দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই মুর্শিদাবাদ জেলা অধীর চৌধুরীর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। যদিও এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেই জেলার এক বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য জায়গায় সফলতা ছুঁতে পারেনি জাতীয় কংগ্রেস।

তবুও অধীর চৌধুরীর নামে যে এলাকায় একটা বড় সংখ্যায় মানুষের মধ্যে আবেগ কাজ করে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কারণেই হয়ত বহরমপুর এবং কান্দি পৌরসভা নিয়ে রীতিমতো দোলাচলে ছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতৃত্বরাই। তবে ইতিমধ্যেই উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যে খড়গপুর আসলে যুক্ত হয়েছে, সেই খড়গপুর ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

কিন্তু দিলীপ ঘোষের এই ঘাটি ভেঙ্গে বরং তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়যুক্ত করানোর দায়িত্ব পালন করেছে শাসকদলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর উল্লেখযোগ্যভাবে সেই শুভেন্দুবাবু মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক। তাই এখানেও পৌরভোটে খড়গপুর মডেল করে জয়যুক্ত হতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে আশ্বাস কর্মী-সমর্থকদের মনে। জানা গেছে, রেলের শহর হিসেবে পরিচিত খড়্গপুরে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যমেই অসাধ্য সাধন করেছে শুভেন্দু অধিকারী।

ভোটে জয়লাভ করার জন্য রীতিমত 54 জন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছিলেন তিনি। যারা এলাকার মাটির সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সম্পর্ক রেখে নিজেদের কর্তব্যভার পালন করেছে। শুধু 54 জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করাই নয়, তাদেরকে নিজ নিজ দায়িত্বের বাঁধনে বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই বহরমপুর শহরের লোকেরা মনে করছেন, যেভাবে শুভেন্দুবাবু খড়্গপুরের মত এলাকায় প্রতিপত্তি বিস্তার করেছেন, সেভাবেই বহরমপুরেও নিজেদের প্রতিপত্তি বিস্তার করতে সক্ষম হবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বহরমপুর থেকে শুরু করে কান্দি এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম বড় সমস্যা গোষ্ঠী কোন্দল। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বারবারই সংগঠনকে ব্যাকফুটে চলে যেতে হয়েছে। বহরমপুরের ক্ষেত্রে অবশ্য কংগ্রেসের প্রতি মানুষের আবেগ রয়েছে বলে একটা কথা চললেও বর্তমানে সেই আবেগ অনেকটাই কম হয়ে গেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেখানে তৃণমূলের সবথেকে বড় সমস্যা কর্মীদের অপ্রতিভ মনোভাব এবং নেতাদের অমনোযোগী না হওয়ার কারণ।

সেক্ষেত্রে বিরোধী দল কংগ্রেসের সুবিধা হয়ে যায় বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। ইতিমধ্যেই নাগরিক পরিষেবা সহ একাধিক ইস্যুতে পৌরসভা বোর্ডের বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস কর্মীরা। তাই শুভেন্দুবাবু যদি শক্ত করে হাল ধরেন, তাহলে শাসক দলের পক্ষে অবস্থা অনেকটাই অনুকূল হয়ে আসতে পারে। বস্তুত, আগে যেভাবে এলাকার শহর থেকে সকালের মধ্যে নোংরা পরিস্কার হয়ে যেত, বর্তমানে এখন আর তা হচ্ছে না।

এছাড়াও নিকাশি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পথবাতি সহ একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেস রীতিমতো আক্রমণ করতে শুরু করেছে শাসক দলকে। তাই পরিস্থিতি অনেকটাই ঘোরালো হয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে বলে মত অনেকের। শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই খড়্গপুরের নির্বাচনে সবকয়টি গোষ্ঠীকে একত্রিত করে কাজে লাগিয়েছিল এবং এলাকায় নাগরিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে যোগ্য নেতাদেরকে তৃণমূল দলে তুলে নিয়েছেন।

ঠিক একই ভাবে যদি মুর্শিদাবাদ জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করা যায়, তাহলে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ থেকে শুরু করে কান্দি, বহরমপুর সব এলাকাতেই শাসকদলের একাত্ম থাকতে পারে বলে মনে করছে অনেকে। কিন্তু এখন আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস কোন রাস্তায় হাঁটবে! শুভেন্দুবাবুও বা এই এলাকাতে কি রণনীতি খাটাবেন! সেই সব কিছুর দিকেই লক্ষ্য থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!