এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূলকে সিট বেচেছেন কৈলাশ! ক্ষতিপূরণের টাকাও লুট! সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অস্বস্তিতে বিজেপি

তৃণমূলকে সিট বেচেছেন কৈলাশ! ক্ষতিপূরণের টাকাও লুট! সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অস্বস্তিতে বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হয়নি বিজেপির। ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেও মাত্র ৭৭ টি আসন নিয়ে দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। একাধিক জেলাতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে গেরুয়া শিবিরের। যে জেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বীরভূম জেলা। অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ১১ টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

দলের এই সার্বিক বিপর্যয়ে জেলা নেতৃত্বকে যেমন দলের কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে শুরু করেছেন, তেমনি এবার ক্ষোভের মুখে পড়লেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পোস্ট করা হলো সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে অভিযোগ করা হলো, তৃণমূলকে সিট্ বিক্রি করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এমনকি ক্ষতিপূরণের অর্থও লুঠ করা হচ্ছে।

গতকাল ফেসবুকে ‘প্রতিবাদী বীরভূম’ নামে একটি পেজ থেকে দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে। যা দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে তীব্র ভাবে। দলের বিরুদ্ধে করা একাধিক পোস্ট থেকে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে বারবার। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় যেমন আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছেন, তেমনি আক্রমণের লক্ষ্য বীরভূম জেলা জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল, বর্তমান জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা থেকে শুরু করে এই দুই নেতার ঘনিষ্ঠ আরও বেশকিছু হেভিওয়েট।

জেলায় ভালো ফলের আশা করেছিল বিজেপি। কিন্তু একমাত্র দুবরাজপুর ছাড়া অন্য সমস্ত আসনে দলের পরাজয় দলের কর্মীদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তার প্রতিফলন দেখা গেছে প্রতিবাদী বীরভূম ফেসবুক পেজের একাধিক পোস্টে। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচনের পর বেশ কিছু কর্মী আক্রান্ত হলেও জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা নিশ্চুপ। তিনি নিজেকে করোনা আক্রান্ত বলে দাবি করে, বাড়িতে রয়েছেন। অভিযোগ করা হয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে ছিল, কিন্তু জেলা সভাপতির ভুলের কারণে, মাত্র ১ টি আসনে জয় এসেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ফেসবুক পেজ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, জেলার তিন জন জেনারেল সেক্রেটারি, জেলার একাধিক পদাধিকারী বেপাত্তা। করোনা সংক্রমনের কথা জানিয়ে দলের কর্মীদের ফোন পর্যন্ত ধরেন নি জেলা সভাপতি। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে দেখা গেছে তাঁকে। সেখানে মাস্ক না পরেই বিজেপি নেতা অর্জুন সাহার সঙ্গে দেখা গেছে তাঁকে।

দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি বাংলার সিট্ বিক্রি করে তৃণমূলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সাহা, প্রার্থী পিয়া সাহা কর্মীদের বিপদের দিনে লুকিয়ে রয়েছেন।

এভাবেই দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভের প্রকাশ দেখা গেছে এই ফেসবুক পেজে। তবে, এ প্রসঙ্গে জেলার বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডল জানিয়েছেন, ফেসবুকে কারা কি ধরনের মন্তব্য করেছেন? সে বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে যারা এসব করেছেন, তারা যদি বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে থাকেন। তবে তাদেরকে তিনি জানাতে চান যে, ব্যক্তিগতভাবে কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকা অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু দলের বাইরে তা প্রকাশ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল।

জেলায় বিজেপির অভাবনীয় পরাজয়ের পর জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে শুরু হলো অভিযোগের পালা। যেখান থেকে রেহাই মেলেনি স্বয়ং পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। প্রতিবাদী বীরভূম ফেসবুক পেজটি কাদের তত্ত্বাবধানে চলছে? তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু, এই পেজ দলের অস্বস্তি তীব্রভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে নির্বাচনের পরবর্তীতে দলের কর্মীদের বিপদের দিনে দলের একাধিক নেতা কর্মীদের পাশে নেই বলেও, অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, যা দলের কাছে অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!