এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ঘোষিত হলো টিএমসিপির নতুন জেলা ও রাজ্য কমিটি, একাধিক চমক, একাধিক নতুন সিদ্ধান্ত

ঘোষিত হলো টিএমসিপির নতুন জেলা ও রাজ্য কমিটি, একাধিক চমক, একাধিক নতুন সিদ্ধান্ত

অবশেষে দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর ঘোষণা হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যের 17 টি জেলার রাজ্য সভাপতির নাম। ছাত্র ভর্তি কে কেন্দ্র করে তোলা বাজির অভিযোগে এবছর প্রবল চাপে পড়ে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকেও যেতে হয় কলেজ পরিদর্শনে।

কিন্তু তার পরেও দলীয় ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কম ছিল না। অবশেষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভানেত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জয়া দত্তকে। আর এরপরই জল্পনা ছড়ায় তাহলে হবে রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পরবর্তী সভাপতি!

সম্প্রতি সেই পদে বসানো হয় সেই জয়া দত্তরই অনুগামী বলে পরিচিত ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে। যার সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয় মনিশংকর মন্ডল এবং রুমানা আক্তারকে। কিন্তু রাজ্যের সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদ ঠিক হলেও সমস্ত জেলায় ছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতি করবে বলে বার্তা দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সব জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়।

কেননা, রাজ্যের এমন অনেক জেলাই রয়েছে যেখানে ত্রিশউর্ধ্ব ব্যক্তিরাও ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদে রয়েছেন। ফলে সেই সব জেলায় নতুন মুখ এবং কলেজ পড়ুয়াদের আনার ব্যাপারে দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিজয়া উপলক্ষে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রণাম সারতে গেলে সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরোনো এবং নতুনের সংমিশ্রণেই যেন জেলা কমিটিগুলো তৈরি করা হয়।

আর সেই মতো গতকাল রাজ্যের প্রায় 17 টি জেলায় সভাপতি নির্বাচিত করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। জানা গেছে, উত্তর কলকাতা, হাওড়া গ্রামীণ, হাওড়া শহর, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর 24 পরগনার, মালদা র মত জেলাগুলিতে পুরনো সভাপতিরাই রয়ে গেছেন। তবে মধ্য কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে নতুন মুখ আনা হয়েছে। অন্যদিকে 17 টি জেলার সভাপতি ঘোষণা করলেও বাকি আটটি জেলায় সভাপতি পদ এখনো ঘোষণা করতে পারেনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

যা নিয়ে এদিন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য্য বলেন, “যে নামগুলো ঘোষণা হয়নি সেগুলো খুব তাড়াতাড়ি ঘোষণা করা হবে। কেউ কেউ যুবর ব্যাপারে মনোযোগী হয়েছেন সবদিক দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

একাংশের মতে, এ যেন শেষ হয়েও হইল না শেষ। উত্তরবঙ্গের মালদা এবং আলিপুরদুয়ার বাদ দিয়ে প্রায় সমস্ত জেলাতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে পুরনোরাই থাকলেন না কি নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলাতেও এই ধোঁয়াশা অব্যাহত। তাহলে কি অঘোষিত জেলা গুলিতে ছাত্র সংগঠনের ক্ষেত্রে নতুন কোন ভাবনা চিন্তা করছে শাসক দল? কেননা উত্তরবঙ্গের অঘোষিত জেলাগুলির মধ্যে প্রায় বেশিরভাগেই বয়স্ক ছাত্রনেতারা সভাপতি পদে রয়ে গেছেন। ফলে ঘোষণা না হওয়া জেলাগুলিতে দল এখন নতুন কোন ছাত্রনেতাকে তুলে আনে কি না সে দিকেই তাকিয়ে সংগঠনের নিচুতলার কর্মীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!