এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের আগেই বিরোধীদের ‘বিভ্রান্তিমূলক প্রচারকে’ কাবু করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে তৃণমূল

একুশের আগেই বিরোধীদের ‘বিভ্রান্তিমূলক প্রচারকে’ কাবু করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন বিরোধীদের তরফে কোনও কটাক্ষ করা হলেই তার জবাব দিতে দেখা যেত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বাস্তবিক অর্থে এটাই স্বাভাবিক। বিরোধী রাজনৈতিক দল যদি কটাক্ষ করে তাহলে শাসক দল এবং তার নেতা-মন্ত্রীরা পাল্টা যুক্তি দেবেন, এটা অত্যন্ত সাধারন ব্যাপার।

করোনা ভাইরাসের কারণে বিরোধী দল বনাম সরকারের মধ্যেকার এই তরজা সোশ্যাল মিডিয়াতে সীমাবদ্ধ ছিল। সেভাবে কেউ রাস্তায় বের হতে না পারার জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে একে-অপরের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে শুরু করে করোনা ভাইরাস, বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা। তবে এবার দল তৃণমূল কংগ্রেস নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধীদের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারকে কাবু করতে প্রতিটি ফেসবুক, টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিল নবান্ন। যেখানে সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান উল্লেখ থাকবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলা শাসকদেরও এই অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই বুঝতে বাকি নেই, করোনা ভাইরাসের সময়কালে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যখন বিরোধীরা নানা মন্তব্য করছে, তখন তাকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে ধ্বংস করতেই রাজ্যের এই পদক্ষেপ। বস্তুত একুশে জুলাই এর সমাবেশ থেকে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বেশি করে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তারপরেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন।

তবে তার আগে যেভাবে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে গোটা ঘটনাকে মোকাবিলা করতে গেলে করোনা ভাইরাসের সময়কালে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় নেই। তাই দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন বিরোধীদের এই সমস্ত অপপ্রচারের মোকাবিলা করছে, ঠিক তেমনই সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত দপ্তরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে উন্নয়নের কথা তুলে ধরার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আর তাই এবার সরকারের প্রতিটা দপ্তরকে এই ব্যাপারে সক্রিয় করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের সরকারের উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে দিতে চাইছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। তবে এই সমস্ত কিছুই যে বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে তা বলাই বাহুল্য। তাই সরকারি দপ্তর এবং প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের দিয়ে রাজ্যের উন্নয়নের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরার চেষ্টা করলেও, তা কতটা সফল হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!