তৃণমূলের অনেক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শুনেছেন, কিন্তু ট্রান্সফর্মারের ফিউজ নিয়ে? কখনো ভেবেছেন? তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য August 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ছোটখাটো নানা ব্যাপারে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল কারো অজানা নয়। বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরকে। কিন্তু বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারের ফিউজ লাগানোকে কেন্দ্র করেও যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হবে, তা সত্যিই আঁচ করা যায়নি। তবে এবার সেরকমই একটি ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল মালদহের রতুয়া এলাকায়। জানা যায়, রবিবার রাতে কালিতলা মোড়ে ট্রান্সফর্মারের ফিউজ নিয়ে একটি সমস্যা দেখা দেয়। ঘনঘন ফিউজ উড়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যা তৈরি তৈরি হয়। এদিকে এই ঘটনার পর এই এলাকার বেশকিছু মানুষ সেই ট্রান্সফরমারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেখানে ফিউজ লাগাতে যায়। আর তখনই গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি দ্বিজেন মন্ডল এবং তার দলবল সেই কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, দ্বিজেন মন্ডল এবং তার লোকজন দলবল নিয়ে হামলা করলে লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় দীপক মন্ডল নামে এক ব্যক্তির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় বর্তমানে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একে অপরের দিকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। কেন তিনি এই ভাবে হামলা চালালেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের দ্বিজেন মন্ডল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং স্থানীয় বিধায়কের ষড়যন্ত্র। হাটপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা বিদ্যুৎ দপ্তরে খবর না দিয়ে নিজেরাই বিদ্যুতের খুটি ওঠাতে গেলে আমি বাধা দিই। কারণ যে কোনো সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তখন তারাই আমাকে গালিগালাজ করে এবং লাঠিসোটা নিয়ে তেড়ে আসে।” এদিকে তৃণমূল নেতা স্থানীয় বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে রীতিমত টালমাটাল পরিস্থিতি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। যদিও বা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আমি বাড়িতেই রয়েছি। বিলাইমারিতে কি ঘটনা ঘটেছে, আমার জানা নেই।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -