বালুরঘাটে গেরুয়া ঝড় থামিয়ে তৃনমূললকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রথমেই “ছক্কা” হাঁকিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ গৌতমের উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। কখনও গঙ্গারামপুর থেকে, আবার কখনও বা বালুরঘাট থেকে দল পরিচালনা হত। কিন্তু বালুরঘাটে নানা সময়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি থাকলেও, কোনো রকম জেলা অফিস না থাকায় কর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। শংকর চক্রবর্তী হোক বা অর্পিতা ঘোষ, কেন বালুরঘাটে সেভাবে তৃণমূলের কোনো জেলা অফিস নেই, তা নিয়ে কর্মীসমর্থকরা অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে সভাপতি করা হয়েছে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে। আর দায়িত্ব পাওয়ার পরই এবার বালুরঘাটের ওপর ভরসা রেখে জেলা কার্যালয় খুলে সংগঠনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন নতুন জেলা সভাপতি। একাংশ বলছেন, গৌতমবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পর যদি সত্যি সত্যি বালুরঘাটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয় খুলে দিতে পারেন, তাহলে তা যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে স্থাপন হয়ে থাকবে। কেননা এতদিন বিপ্লব মিত্র হোক বা শংকর চক্রবর্তী, যে যখন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন অনেকটাই নিজের বাড়ির ওপর ভরসা রেখে দল পরিচালনা করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আশেপাশে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ছোট কার্যালয় খোলা হলেও, সেভাবে দলের নামে কখনই কোথাও কোনো বিরাট মাপের কার্যালয় খুলতে দেখা যায়নি। সেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এতদিন জেলা কার্যালয় বলে কিছু ছিল না তৃণমূলের। তবে দক্ষিণ দিনাজপুরের সদর শহর যেহেতু বালুরঘাট এবং সেখানে বিজেপির প্রভাব যেভাবে বাড়ছে, তাই সেই বালুরঘাটকে টার্গেট করেই সেখান থেকে দল পরিচালনার কথা ভাবলেন গঙ্গারামপুরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গৌতমবাবু বালুরঘাট শহরে জেলা পার্টি অফিস তৈরীর জন্য বাড়িভাড়া খুঁজতে শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “দলের জেলা কার্যালয় না থাকা একটা বড় সমস্যা। বালুরঘাট শহরে একটি বাড়ি ভাড়া খুজছি, যেখানে জেলা কার্যালয় হবে। তবে তা ব্যক্তিগত কারও অফিস হবে না। দলের সকল নেতাকর্মীদের অফিস হবে সেটি। খুব তাড়াতাড়ি জেলা কার্যালয় তৈরি হয়ে যাবে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাসদা বলেন, “দলের কোনো জেলা পার্টি অফিস ছিল না। আগের সভাপতিরা বানাবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা তৈরি হয়নি। গৌতমদা সভাপতি হয়ে যে উদ্যোগ নিতে চলেছেন, তা খুবই ভালো খবর।” একইভাবে এই ব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকী বলেন, “জেলা অফিস না থাকার কারণে আমাদের হোটেল, লজ ভাড়া করে মিটিং করতে হয়। কর্মীরাও আমাদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসেন। এতে নানা সমস্যা হয়। জেলা কার্যালয় তৈরি হলে সেসব সমস্যা আর থাকবে না।” তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বলছেন, গৌতম দাস যদি সত্যি সত্যিই বালুরঘাটে জেলা কার্যালয় স্থাপন করে দিতে পারেন, তাহলে সদর শহরে তৃণমূল অনেকটাই শক্তিশালী হতে পারবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হাওয়াকে বন্ধ করতে বালুরঘাটে তৃণমূলের এই জেলা কার্যালয় স্থাপন শাসকদলকে অনেকটাই অক্সিজেন পাইয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -