এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও আত্মহত্যায় নাম জড়ালো দলীয় নেতার নামে

তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও আত্মহত্যায় নাম জড়ালো দলীয় নেতার নামে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার মুখ পুড়লো রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ার কেন্দুয়া গ্রামের জনৈক তৃণমূল নেতা এই গ্রামেরই বাসিন্দা এক গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। গৃহবধূর স্বামীকে অজ্ঞাত রেখেই এই অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। শেষ পর্যন্ত গৃহবধূর স্বামী বিষয়টি জানতে পারেন। জানার পরই অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে, আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় গ্রামবাসী। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে প্রচণ্ড মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা। যে ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ার কেন্দুয়া গ্রামের জনৈক বাসিন্দা হলেন জুরান মন্ডল। যিনি রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর স্ত্রী নীলিমা মন্ডলের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাসের দীর্ঘ সময় ধরে বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক ছিল। জুরান মন্ডলকে অজ্ঞাত রেখেই তাদের এই সম্পর্ক চলছিল অনেকদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত জুরান মন্ডল ঘটনাটি জানতে পারেন। এই ঘটনা জানার পর অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে গত রবিবার সন্ধায় পুকুরপাড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জুরান মন্ডলের আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাসকে ধরে প্রচণ্ড মারধর করেন বেশ কিছু গ্রামবাসী। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাস ও গৃহবধূ নীলিমা মণ্ডলকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে মুখ পোড়ে শাসক দল তৃণমূলের।

তবে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাস তাদের দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলেই সাফাই দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবির আলি জানালেন যে, রামকৃষ্ণ দাস এখন আর তাদের দলের কেউ নন। তারা আগেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছেন। তবে, এভাবে শাসকদল তৃণমূল অভিযুক্ত নেতাকে তাদের দলের সদস্য নন বলে সাফাই দিলেও, ঘটনাকে ঘিরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল। অনেকেই মনে করছেন যে, এর ফলে শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রচারের একটা অস্র পেয়ে গেল বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!