এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের বহিরাগত ইস্যু কি বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে দলের কাছেই? এবার খোদ বিধায়কের বিরুদ্ধেই বহিরাগতের তকমাআঁটা পোস্টার

তৃণমূলের বহিরাগত ইস্যু কি বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে দলের কাছেই? এবার খোদ বিধায়কের বিরুদ্ধেই বহিরাগতের তকমাআঁটা পোস্টার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে ঘায়েল করতে যে কটি অস্ত্র ব্যবহার করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তার মধ্যে অন্যতম হলো বহিরাগত অস্ত্র। বহিরাগত ইস্যুতে বারবার কটাক্ষ করা হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। তবে বারবার ব্যবহারে তৃণমূলের এই বহিরাগত ইস্যু অনেকটাই যে ভোঁতা হয়ে পড়েছে, তা অনস্বীকার্য। আবার অনেকক্ষেত্রে বহিরাগত অস্র বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে তৃণমূলের কাছেই। গতকাল সোমবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিধায়কের বিরুদ্ধেই বহিরাগতের পোস্টার পরতে দেখা গেল, চাঞ্চল্য ছড়ালো জেলার রাজনীতি মহলে।

গতকাল সোমবার সকালে ‘বহিরাগত বিধায়ক’ লেখা বেশ কিছু ফ্লেক্স, ব্যানার পাওয়া গেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। প্রসঙ্গত, ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডল হলেন আউস গ্রামের বাসিন্দা। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভাতার কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। আবার, জেলায় শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। নিজের বিধানসভা এলাকায়ও বারবার একাধিক গোষ্ঠীর বিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে বিধায়ককে। ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা ও ভাতারের দাপুটে তৃণমূল নেতা মানগোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে মোটেই সুসম্পর্ক নেই বিধায়ক সুভাষ মন্ডলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল সোমবার ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মন্ডলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ফ্লেক্স ভাতারের বেশকিছু এলাকায় পাওয়া গেছে। যেখানে লেখা আছে,” এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় বিধায়ক চাই। বহিরাগত দূর হটো।” এই ঘটনার জন্য শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন অনেকে। কারণ, পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনো নতুন ব্যাপার নয়। জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দলের শীর্ষ নেতৃত্তের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বারবার।

এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা গণমাধ্যমে প্রথমে জানিয়েছেন যে, কারো কোনো অসুবিধা হয়ে থাকতেই পারে। তারাই হয়তো এ ধরনের পোস্টার দিয়েছেন। আসলে সকলেই ভূমিপুত্রকে বিধায়ক হিসেবে চান। তবে, পরবর্তীতে এই প্রাক্তন বিধায়কই ঢোক গিলে জানালেন যে, তিনি জানেন না এই ফ্লেক্স কারা দিয়েছে? তিনি জানিয়েছেন তাঁদের নেত্রীর নাম হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। প্রার্থী যেই হোন না কেন? তাঁদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূলকে জেতাবার চেষ্টা করা উচিত।

বিধায়কের বিরুদ্ধে বহিরাগতের পোস্টার দেওয়া প্রসঙ্গে এলাকার বিজেপি নেতা রাজকুমার হাজরা জানালেন যে, গত সাড়ে ৯ বছর ধরে ২ বিধায়কই কোন কাজ করেননি। শুধু দুর্নীতি করেছেন। বর্তমান বিধায়ক এলাকার জন্য সময় দেন না। এই পোস্টার নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই বিজেপির। তৃণমূলের চারটে গোষ্ঠীর কেউ এই কাজ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, বিজেপি সারা রাজ্যেই জয়লাভ করবে। জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও বিজেপির ক্রমাগত শক্তিবৃদ্ধিতে একেবারে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ অবস্থা তৃণমূলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!