এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের বিদ্রোহী MLA-এর বাড়িতে বিজেপি, আটকাতে মরিয়া ২ মন্ত্রী আসরে, সারাদিনেও মিলল না দেখা

তৃণমূলের বিদ্রোহী MLA-এর বাড়িতে বিজেপি, আটকাতে মরিয়া ২ মন্ত্রী আসরে, সারাদিনেও মিলল না দেখা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় মাস দেড়েক আগে কোচবিহার জেলায় তৃণমূল দলের নতুন জেলা ও ব্লক কমিটির তালিকা প্রকাশের পরই কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি নেন তিনি, এমনকি বিধায়কের পদও তিনি ছেড়ে দিতে পারেন পারেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেকটাই তলানীতে পৌঁছেছে।

এই পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের দুজন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। তবে, মিহির বাবুকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি, জানানো হয়েছিল তিনি তাঁর দিদির বাড়িতে গেছেন। কিন্তু সেখানে গিয়েও পাওয়া যায়নি তাঁকে। কিন্তু একদিন আগেই বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিকের সঙ্গে বাড়িতেই সাক্ষাৎ করেছিলেন মিহির গোস্বামী। এ ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। এরপরও দলের বিরুদ্ধে তিনি বহুবার বিক্ষোভ, বিষেদাগার করেছেন। এর মধ্যেই তিনি আবার ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমকে ঠিকাদারদের সংস্থা বলে মন্তব্য করেছেন। আবার গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূলের। যদিও দলের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছিল যে, তাঁদের এই সাক্ষাতকার নেহাতই সৌজন্যমূলক। তবে, মিহির বাবুর এই আচরণে অনেকটাই ক্ষুব্ধ ও শঙ্কিত শাসক শিবির।

এই আবহে গতকাল সকালে কোচবিহার জেলার দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য সরকারের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন মিহির বাবুর বাড়িতে। তাঁরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন যে, তিনি বাড়ি নেই। তিনি আলিপুরদুয়ারে দিদির বাড়িতে গেছেন। এবার আলিপুরদুয়ারে তাঁর দিদির বাড়ি গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন যে, সেখানেও তিনি নেই, তিনি গেছেন অসমে তাঁর অন্য এক দিদির বাড়িতে। শেষপর্যন্ত ফিরে যেতে হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে। এভাবে মিহির গোস্বামী বিজেপির সাংসদের সঙ্গে দেখা করলেও, রাজ্য সরকারের দুই মন্ত্রীকে যেভাবে ফিরিয়ে দিলেন, সেই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

গতকাল এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানালেন যে, তাঁরা মিহির বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন যে, তিনি আলিপুরদুয়ারে অমর টকিজ এর নিকটবর্তী এলাকায় তাঁর বোনের বাড়িতে গেছেন। এরপর আলিপুরদুয়ারের তাঁরা যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন যে, তিনি অসমে তাঁর দিদির সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। ফলে তাঁর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওদিকে এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন জানালেন যে, তিনি ও রবিবাবু দুজনে সব সময় এক জায়গায় হতে পারেন না, কিন্তু গতকাল সেটা হয়েছিল। তাই দুজন মিলে মিহির বাবুর সঙ্গে দেখা করতে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও তাঁর দেখা পাননি। তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রমানিক রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ ছিল না। তিনি জানান নিশীথ প্রামানিক প্রতিবছর বিজয়ার সময়ে মিহির বাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন না, কিন্তু তাঁরা প্রতি বছর বিজয়ার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করে থাকেন।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানালেন যে, ইতিপূর্বে মিহির বাবুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনিও তাঁর দেখা পাননি। তবে পরে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। হয়তো তিনি সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর দাবি, তিনি তৃণমূল দলের সঙ্গেই আছেন। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা জানালেন যে, মিহিরবাবুর সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত দলের ক্ষুব্ধ বিধায়ক মিহির গোস্বামীর একদিকে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকার, অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের দুই বিধায়ক ও মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়া প্রসঙ্গে ব্যাপক জল্পনা ছড়াতে শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এ বিষয়ে জানতে মিহির বাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফোন সুইচ অফ থাকায়, তাঁর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!