এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সত্যি হল তৃণমূলের আশঙ্কা? সিপিএমকে নিয়ে বড় বার্তা অমিত শাহের? চাপ বাড়ছে বাম শিবিরের?

সত্যি হল তৃণমূলের আশঙ্কা? সিপিএমকে নিয়ে বড় বার্তা অমিত শাহের? চাপ বাড়ছে বাম শিবিরের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই রয়েছে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতেই পশ্চিমবঙ্গ সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর সাংগঠনিক বৈঠকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ব্লু প্রিন্ট তৈরী করে দিলেন। দলের সদস্যদের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও সেইসঙ্গে অন্য দল থেকে দক্ষ সংগঠক দের বিজেপিতে আনার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন যে, দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে অন্য দল থেকে আসা দক্ষ সংগঠকদের স্থানদিতে হবে বিজেপিতে। এজন্য বিজেপিতে দক্ষ সংগঠকদের জন্য দ্বার খোলা রাখতে হবে। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে আসতে চান, নির্বাচনের বিষয়টি ভালোভাবে যারা বোঝেন, তাদেরকে বিজেপিতে আনার নিদান দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, বিজেপিতে কেউই যোগদান করবেন না। বরং বিজেপি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অনেকে। তাঁর দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আশা কখনোই পূরণ হবে না।

আবার, গত বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া সফর করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাঁকুড়াতে অনুষ্ঠিত এক সাংগঠনিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের বহু সদস্য সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিয়েও, তাঁরা সাহায্য করেছিলেন বিজেপিকে। এই সমস্ত সদস্যদের বিজেপিতে আনার চেষ্টা চালাতে নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে মেনে নিতে একান্তই নারাজ সিপিএম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতি সিপিএম বারবার বিজেপিকে সাহায্য করে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, সিপিএম কখনোই তৃণমূলের এই অভিযোগকে মেনে নেননি। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য, তৃণমূলের অভিযোগকে সত্য বলে প্রমাণ করলো। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ফলে উদ্বেগ বাড়লো সিপিএমের। কারণ ইতিমধ্যেই বাম শিবিরের বহু নেতাকর্মী ঘাসফুল শিবির, পদ্ম শিবিরে যোগদান করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বাম দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান বাড়তে পারে বলে, আশঙ্কা বাড়লো বাম দলের।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দলকে শক্তিশালী করতে বুথ ভিত্তিক কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুথগুলোতে তিনি জোর দিয়ে কাজ করতে বলেছেন। সেই সঙ্গে বিজেপিকে বিভিন্ন বিধানসভা ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনসংযোগ বাড়াতেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতিপূর্বে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগ বাড়াতে বিভিন্ন তৃণমূল নেতাদের গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাসের নিদান দিয়েছিলেন। আগামী বিধানসভা ভোটের নিরিখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও একই রকম নির্দেশ দিলেন বিজেপির নেতা কর্মীদের। বিজেপি নেতাদের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে রাত্রিবাসের নির্দেশ নিলেন তিনি।

অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি জানালেন যে, বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা তারা পালন করে দেখায়। তিনি দাবি করেছেন, কোন রক্তপাত ছাড়াই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে। তেমনি রাম মন্দির নির্মাণের পথও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে, কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও আইন কার্যকর করে রাজ্য সরকার। তিনি জানিয়েছেন যে, যতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকবেন। ততদিন এ রাজ্যে চালু হবে না সিএএ। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বিভাজনের অভিযোগ আনলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!