তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের প্রবল মারধরে প্রাণ হারালেন জনৈক বৃদ্ধা, তীব্র শোরগোল রাজনীতি মহলে তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 29, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতমাসে তৃণমূল আশ্রিত বেশ কিছু দুষ্কৃতি প্রবল মারধর করে উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা শোভা রানী মজুমদারকে। আহত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। আজ ভোরবেলা তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। উঠেছে নিন্দার ঝড়, অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেন শোভা রানী মজুমদার, যার বয়স ৮৫ বছর। তাঁর ছেলে গোপাল মজুমদার বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মী। অভিযোগ উঠেছে, শুধুমাত্র বিজেপি করার কারণেই গত ২৭ সে ফেব্রুয়ারি তাঁদের বাড়িতে উপস্থিত হয় তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতি। গোপাল মজুমদারকে প্রবল মারধর শুরু করে এই দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত ছেলের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা শোভা রানী মজুমদার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপরও চড়াও হয়। অভিযোগ উঠেছে, বন্দুকের বাট দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয়েছিল বৃদ্ধা মাকে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতি তাঁদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে, তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার করেছিল। বেধড়ক ভাবে মারধর করেছেন তাঁকে এই দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার ছবি অল্প সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল গণমাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনার ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল। তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোন ভাবেই জড়িত নয়, পারিবারিক বিবাদের কারণে মারধর করা হয়েছিল বৃদ্ধাকে। তবে, বিজেপি তৃণমূলের এই সাফাই কোনভাবেই মেনে নেয়নি। বিজেপির অভিযোগ, শুধুমাত্র ছেলে বিজেপি করার কারণেই, বৃদ্ধা মাকে এভাবে মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এরপর আজ ভোরে মৃত্যু ঘটলো শোভা রানী দেবীর। আজ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন উত্তর দমদমের বিজেপি প্রার্থী ডঃ অর্চনা মজুমদার। গোপালবাবুকে শান্তনা দিয়ে তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এই ঘটনায় ৫ জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে। তারা সকলেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। এই ঘটনায় তীব্র অস্বতি বেড়েছে তৃণমূলের। রাজ্যের আইন-শৃংখ্লা বিঘ্নিত হবার যে অভিযোগ বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার উঠেছে, তাই সত্যি হয়ে উঠেছে এই ঘটনায়, এমনটাই একাধিক বিশ্লেষকের অভিমত। আপনার মতামত জানান -