এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূলের কোন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? ‘ফাঁস’ করে দিলেন দিলীপ ঘোষ

তৃণমূলের কোন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? ‘ফাঁস’ করে দিলেন দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে রয়েছে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডা- হাড্ডি লড়াই হতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। দুদলই আসন্ন নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। অপর দলের নেতা, কর্মী, হেভিয়েটদের ভাঙিয়ে এনে নিজ দলের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে দুটি দলই। এই পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার মেদিনীপুর শহরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, বেশকিছু তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে।

এদিকে আগামী ৫ ই ও ৬ ই নভেম্বর বাংলা সফর করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সফরে বাঁকুড়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। তার প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করলেন। এই বৈঠকের পূর্বে তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলার কাছে এক হোটেলে তিনি এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচিতে শাসকদলের কোন নেতা- মন্ত্রী যোগদান করবেন কিনা, তা তিনি জানেন না। তবে প্রতিদিন বিভিন্ন দল থেকে বহু নেতাকর্মী যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনা থেকে আগামী দিনে বহু মানুষ যোগদান করতে চলেছেন বিজেপিতে।

সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, তৃণমূল দলে কখনো কোন ভদ্রলোক থাকতে পারে না। এই দলটি যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়বে। যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটবে এই দলে। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অভিযোগ করেন যে, নদীয়ার গয়েশপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হত্যা করা হচ্ছে বিজেপির নেতা কর্মীদের। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকলকেই লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন। প্রয়োজন হলে তিনি আবারও জানাবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর তিনি জানালেন যে, আজ সোমবার কল্যানী বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে সারা রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, রাজ্যে সাম্প্রতিক যে দুঃসহ অবস্থা চলছে, তার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচন কখনোই অবাধে ও নিরপেক্ষভাবে হতে পারবেনা। বিষয়টি চিন্তা করেই নির্বাচন কমিশনকে এর উপযুক্ত প্রস্তুতি গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে। এরপর গোর্খা নেতা বিমল গুরুং প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা বলে ডাকতেন বিমল গুরুং। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমল গুরুং এর সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন, তা সৎমাও করেন না। বিমল গুরুংকে দীর্ঘসময় বাংলার বাইরে থাকতে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ১৭৬ টি মামলা। তাঁর প্রশ্ন, ” যে তিনি ফের দিদির আঁচলের তলায় চলে গেলেন? ” তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে তৃণমূলের বিরোধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পাহাড়ের মানুষেরা। বহু মানুষকে পাহাড় ছাড়তে হয়েছে। তাঁরা পাহাড়ের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসার কামনা করেন।

রাজ্য সরকারের প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপির সংসদ সদস্যদের সঙ্গে রাজ্যের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা কখনোই দেখা করেন না। সরকারি অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। বিজেপির কোন কর্মী যদি থানায় অভিযোগ জানাতে চান, তবে তাঁর এফআইআর নেওয়া হয় না। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি সম্পর্কে যা বলেছেন, তা তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়েই বলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারেরা নিজেদের কাজ ঠিকমতো করছেন না। রাজ্যপাল সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলেছেন।

করোনা সংক্রমণ কালে আনলক পর্বে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালুর বিষয়ে তিনি জানালেন যে, রেলের পক্ষ থেকে রাজ্যকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু বিষয়ে দুবার চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। সম্প্রতি, রেল পুলিশ যাত্রীদের লাঠিচার্জ করার পর সরকারের টনক নড়েছে। তিনি দাবি করেছেন, অন্যান্য রাজ্যে যেখানে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়ে গেছে, এই রাজ্যে যখন অটো, টোটো, বাস, মেট্রো সমস্ত কিছু চলছে, তখন লোকাল ট্রেন চালু করার ব্যাপারে কেন আপত্তি জানাচ্ছে রাজ্য? সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেই লোকাল ট্রেন চালু করা প্রয়োজন। যা নিয়ে রাজ্যকে বহু পূর্বেই উদ্যোগী হবার প্রয়োজন ছিল। গতকালের বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শাসক দলের বেশ কিছু বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এই তথ্য দিয়ে কার্যত ঘুম উড়িয়ে দিলেন শাসকদলের। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!