এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > তৃণমূলের ক্রমাগত ভাঙ্গনে আশায় বুক বাঁধছে বাম শিবির

তৃণমূলের ক্রমাগত ভাঙ্গনে আশায় বুক বাঁধছে বাম শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভাঙ্গন তীব্র শাসকদল তৃণমূলে। একের পর এক এটা বিধায়ক দল ছাড়তে শুরু করেছেন। প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে তীব্র ভাঙ্গন চলছে শাসকদল তৃণমূলে। তৃণমূলের এই ভাঙ্গন উচ্চসিত করেছে রাজ্যের বাম শিবিরকে। শাসক দল তৃণমূলের ভাঙ্গনে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক বামমুখি হতে পারে বলে অত্যন্ত আশাবাদী সিপিএম নেতৃত্ব। আবার, তৃণমূলের ভাঙ্গনে বামের শক্তিবৃদ্ধি ঘটবে বলে আশাবাদী আলিমুদ্দিন।

প্রসঙ্গত, গত ২০১১ সালে চৌতিরিশ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটে। জয়লাভ করে তৃণমূল। এরপর সময় যতই এগিয়েছে, ততই বাম শিবিরের ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। সিপিএম ও অন্যান্য বহু বাম দলগুলোর বহু নেতা, কর্মী তাঁদের পুরনো দল ছেড়ে যোগদান করেছেন শাসকদল তৃণমূলে। আবার অনেক নেতা দলে থাকলেও উৎসাহ হারিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। দলের তীব্র ভাঙ্গন রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বাম শিবির।

এবার, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল দলে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দল ছেড়ে দিয়েছেন মিহির গোস্বামী, শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, শীলভদ্র দত্ত। সম্প্রতি তৃণমূলের দুই সংখ্যালঘু হেভিওয়েট দল ছেড়ে দিলেন। যারা হলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা, তথ্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের এই ভাঙ্গন যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত করেছে বাম শিবিরকে। বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন বাম নেতারা দাবি করেছেন যে, তৃণমূলের শক্তিক্ষয় ঘটায় সুবিধা হবে বামেদের। এর ফলে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল ছেড়ে বামের দিকে চলে আসবে। গত লোকসভা নির্বাচনে যে সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া হয়েছিল, তা আবার চলে আসবে বামের দিকে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে দুটি আসন বামের দখলে এসেছিল। কিন্তু গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে শুন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল বাম শিবিরকে। তবে, এবারে আশাবাদী বাম শিবির। কেরালার পুর, পঞ্চায়েত নির্বাচন ও দিল্লির কৃষি আন্দোলনের সুফল বাম শিবির পেতে পারে বলে বাম নেতাদের দাবি।

প্রসঙ্গত, কৃষি আন্দোলন সাধারণত রাজনীতিহীন একটি আন্দোলন, কিন্তু ধীরে ধীরে বাম নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে এই আন্দোলনে। বাম নেতারা জানাচ্ছেন যে, হান্নান মোল্লার নেতৃত্বে এই আন্দোলনের সুফল পাবেন রাজ্যের কৃষকরা। তাই তাঁদের সমর্থন শিবিরের মিলবে বলে আশাবাদী বাম নেতৃত্ব। এভাবেই শাসকদল তৃণমূলের ভাঙ্গনে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে রাজ্যের বাম শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!