এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল উত্তরবঙ্গের এই জেলায়, সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে সাত জন

তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল উত্তরবঙ্গের এই জেলায়, সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে সাত জন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয় পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেও যে বিষয়টি ভাবাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে, তা হল দলের তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার নির্দেশ দিয়েছেন কোনভাবেই অন্তর্দ্বন্দ্ব বরদাশ্ত করা হবে না, দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবে, এরপরও দলের গোষ্ঠীকোন্দল রোধ করা যাচ্ছে না। স্থানে স্থানে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। মারামারি-হাতাহাতি, গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটছে বারবার। যা থেকে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের। এবার তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে।

জেলায় তৃণমূলের দুটি বিবাদমান গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে, যা হলো গঙ্গারামপুরের হামজাপুর এলাকার তৃণমূল নেতা লিয়াকত আলী খানের গোষ্ঠী ও ইয়াকুব আলী খানের গোষ্ঠী। এই দুই নেতার মধ্যে বনিবনা একেবারেই নেই। দুই গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বারবার সংঘর্ষের ঘটনা ইতিপূর্বে দেখা গেছে। নির্বাচনের ফলাফলের পর লিয়াকত আলী খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় দল বিরোধী কাজের। এরপর তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন লিয়াকত আলী খান ও অনুগামীরা। এই ঘটনার পর তৃণমূল নেতা ইয়াকুব আলী খানের ঘনিষ্ঠ আইনুদ্দিন মিয়াকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে লিয়াকত আলী খানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এরপরে গঙ্গারামপুরের কাজলতোর এলাকায় লাঠি ও বাঁশ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দেয় সমস্ত মানুষের মধ্যে। দুই গোষ্ঠীর প্রবল মারামারিতে দু’পক্ষের সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

যারা হলেন ইয়াকুব আলী খান, আইনুদ্দিন মিয়া, লোকমান আলী, আমজাদ আলী, লিয়াকত আলী, লিটন আলী, রবিউল ইসলাম। এরা সকলেই হামজাপুরের বাসিন্দা। প্রবল অশান্তি দেখা দিলে খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আহত ব্যক্তিদের ভর্তি করা হয়েছে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এখনো আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। এই ঘটনা তৃণমূলের অস্বস্তি তীব্র করে দিয়েছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!