এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের সঙ্গে কি এবার সরাসরি সংঘাতে অধিকারী পরিবার? নাম না করে ফিরহাদকে একহাত দিব্যেন্দুর !

তৃণমূলের সঙ্গে কি এবার সরাসরি সংঘাতে অধিকারী পরিবার? নাম না করে ফিরহাদকে একহাত দিব্যেন্দুর !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল নন্দীগ্রাম দিবসে নন্দীগ্রামে তিনটি পৃথক স্মরণসভা আয়োজিত হতে দেখলেন নন্দীগ্রামের মানুষ। এভাবে এক উদ্যেশ্য এই তিন সভার আয়োজন নিয়ে যেমন বিতর্ক ছড়ালো, তেমনি সভামঞ্চ থেকে বক্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন। নন্দীগ্রামের হাজরাকাটায় তৃণমূল আয়োজিত সভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁর বক্তব্য দান কালে মীরজাফরের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি তাঁর এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, মীরজাফর কে তা ভবিষ্যৎ দেখবে। তৃণমূল আয়োজিত এই শহীদ স্মরণ সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে জানালেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, যে নন্দীগ্রাম একদা তৃণমূল শাসনের বীজ বপন করেছিল, যে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরকে কেন্দ্র করে বাম সাম্রাজ্যের ভিত নড়ে গিয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার সেই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী বিভাজন প্রকাশ্যে চলে এলো। গতকাল নন্দীগ্রামের তেখালিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হলো। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সেথানের বিধায়ক ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, ছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি সহ বেশকিছু নেতৃত্ব। আবার তৃণমূল আয়োজিত হাজরাকাটার সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পূর্ণেন্দু বসু প্রমুখরা। এই সভায় বক্তব্য রাখেন ফিরহাদ হাকিম। সভায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি মীরজাফরের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানালেন যে, মীরজাফর পূর্বে ছিল, এখনো আছে। মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে বিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাবেন তাঁরা। তবে, মীরজাফরের নামে কাকে তিনি ইঙ্গিত করতে যাচ্ছেন, সরাসরি সে বিষয়ে কিছু জানাননি পুরমন্ত্রী। এ বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই সভায় পুরমন্ত্রীর এভাবে মীরজাফরের প্রসঙ্গ তোলায় তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক, জল্পনা শুরু হয়। মীরজাফরের নাম করে তিনি কাকে ইঙ্গিত করতে চাইছেন, তা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানালেন, ” আমি বলব মীরজাফরের তকমা টেনে কাউকে বিশেষিত করা যাবে না। তিনি হয়ত বলেছেন ব্যক্তিগত ভাবে। তবে আমরা ইতিহাসে মীরজাফরকে দেখেছি। বর্তমানে কে মীরজাফর তা আগামী দিনে মানুষ বলে দিবে। ইতিহাস বলবে মীরজাফর কে।”

অন্যদিকে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানান যে, গতকাল নন্দীগ্রামে তৃণমূল আয়োজিত সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। এই সভায় কারা কারা উপস্থিত হয়েছেন, সে বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না। এমনকি এই সভার বিষয়েও কোন কিছু জানানো হয়নি তাঁকে। গতকাল সকাল থেকে তিনি এই স্থানে ছিলেন, কিন্তু সভার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, তাঁকে আমন্ত্রণ করলে তিনি নিশ্চয়ই সভায় যেতেন। গতকালের সভার বিষয় নিয়ে তিনি জানালেন যে, আগামী দিনে এই সভার কি প্রভাব পড়বে? নন্দীগ্রামে তিনি তাঁর দলকে তা জানাবেন। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল দলের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এবার তার সূত্র ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে কি সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে চলেছে অধিকারী পরিবার? এটাই প্রশ্ন সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!