এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূলের সঙ্গে কুস্তি না দোস্তি? কোন পথে হাঁটবে সিপিএম? নীতি নির্ধারণে জরুরি বৈঠক দিল্লিতে

তৃণমূলের সঙ্গে কুস্তি না দোস্তি? কোন পথে হাঁটবে সিপিএম? নীতি নির্ধারণে জরুরি বৈঠক দিল্লিতে


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একের পর এক প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সিপিএমকে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটে গেলে বাংলার ক্ষেত্রে সিপিএমের অবস্থান কী হবে? ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা কি আদৌ কি যুক্তিযুক্ত হবে? কেরালাতে কংগ্রেসের সঙ্গে যেখানে সাপে-নেউলে সম্পর্ক, সেখানে সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলে কেরালায় দল কতটা সুবিধে করতে পারবে? একের পর এক প্রশ্ন ভাবাচ্ছে বাম নেতৃত্বকে। এই পরিস্থিতিতে আজ দিল্লিতে সিপিএমের সেন্ট্রাল কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই বৈঠকেই দলের আগামী দিনের নীতি নির্ধারণ করা হবে।

আজ থেকে দিল্লিতে সিপিএমের তিন দিনের একটি জরুরি বৈঠক হতে চলেছে। তিন বছর পরে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজকর্ম, অন্য দলের সঙ্গে জোট বাধা, বা লড়াইতে নামা – এই সমস্ত কিছু নিয়ে চলবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়াই বামেদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু, রাজ্যে বামেরা কি করবে? এই সব নিয়ে ওঠা নানা প্রশ্ন, যথেষ্ট ভাবাচ্ছে বাম শিবিরকে। তাই ভার্চুয়াল নয়, একেবারে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই বৈঠকে যোগদান করতে চলেছেন বাম নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, গত ৭ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করে এসেছে বামেরা, যা থেকে এখন সরে যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। কিন্তু বিজেপি সঙ্গে জোর লড়াই করতে হলে বিজেপি বিরোধী জোটে যাওয়া কি আদৌ সম্ভব? তৃণমূলের সঙ্গে জোট বদ্ধ হলে, রাজ্যে বাম নেতৃত্তের করণীয় কি হবে? আবার ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সঙ্গে যদি জোট করা হয়, তবে কতটা লাভবান হবে বাম নেতৃত্ব? এরকম নানা প্রশ্ন ভাবাচ্ছে দলকে।

আবার কেরালার মত রাজ্যে বামের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রবল বিরোধ রয়েছে। তাই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা হয়, তবে সেখানে নানা রকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বাম শিবিরকে। আবার, প্রশ্ন উঠেছে দলে কিভাবে নতুন মুখ আনা যায়? প্রবীণ নেতাদের ওপর দায়িত্ব কমিয়ে দিয়ে নবীনদের আনার চিন্তাভাবনা চলছে। আবার দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা, দলের ভাঙ্গন রোধ করা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও রয়েছে একাধিক প্রশ্ন, এই সমস্ত কিছু নিয়েই আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবারের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!