একুশের মহাযুদ্ধের আগে ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে তৃণমূল! ভাঙনে ছারখার বিজেপি থেকে বামফ্রন্ট! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২১ শে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল দল ছেড়ে অন্য দলে চলে যাওয়া প্রাক্তন তৃণমূলীদের পুনরায় দলে যোগদানের ব্যাপারে বিশেষ আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে অন্য দলের কর্মী, সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল দলে যোগদানের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা দানের পর থেকে তৃণমূলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোর দলের সংগঠনগত বেশকিছু রদবদল ঘটান। এই রদবদলের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বিরোধী দলের বহু সদস্য তাদের পূর্বদল ত্যাগ করে যোগদান করছেন শাসকদল তৃণমূলে। গতকাল দীর্ঘসময়ের সিপিএম গড় বলে পরিচিত গোয়ালবেড়িয়া গ্রামের ১০০এরও বেশি সিপিএম ও বিজেপি সমর্থকদের পরিবার যোগদান করলেন তৃণমূলে। প্রসঙ্গত গোয়ালবেড়িয়া গ্রামটি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিল সিপিএমের দখলে। গতকাল সাঁতুড়ি ব্লকের গড়শিকা গ্রাম পঞ্চায়েত এর অন্তর্গত আদিবাসী অধ্যুষিত গোয়ালবেড়িয়া, নামো শালুনী গ্রামের সিপিএম, বিজেপির বহু পরিবার যোগ দেয় তৃণমূলে। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর কয়েক বছর অতিক্রান্ত হলেও গোয়ালবেড়িয়া গ্রামটিতে কিছুতেই সুবিধা পারছিল না তৃণমূল। এই গ্রাম সিপিএমের শাসনাধীন ছিল। তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু গতকাল একসঙ্গে এত জন মানুষ তৃণমূলে যোগদান করায় শাসকদলের পাল্লাভারী হল বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল সিপিএম, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা জনৈক নব্য তৃণমূল সদস্য কার্তিক হেমব্রম জানালেন যে, এই গ্রামের মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে সিপিএম ও বিজেপিকে ভোট দান করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই গ্রামের কোন উন্নয়ন ঘটেনি। গ্রামের পথ-ঘাট গুলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, আবাস যোজনায় ঘর পাচ্ছে ধনী মানুষেরাই, কিন্তু গ্রামের প্রকৃত দরিদ্র মানুষেরা বঞ্চিত হচ্ছেন তা থেকে। এসব কারণেই প্রকৃত উন্নয়নের আশাতে তাঁর তৃণমূলে যোগদান। গতকাল একসঙ্গে এত জন তৃণমূল দলে যোগদান করায়, কার্যত উৎসবের মেজাজে ছিল গোয়ালবেড়িয়ার তৃণমূল পার্টি অফিস। গতকাল সিপিএম ও বিজেপি ত্যাগ করে আসা নব্য তৃণমূল সদস্যদের হাতে তৃণমূল দলের পতাকা তুলে দিলেন সাঁতুড়ি তৃণমূল ব্লক সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তী। জনৈক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ” মটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। তাই গ্রামের মানুষ উন্নয়নের জন্য তৃণমূলে যোগদান করেছে।” এভাবেই গতকাল শক্তি বৃদ্ধি করতে দেখা গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। আপনার মতামত জানান -