এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে যোগদান করেই বিজেপির বিরুদ্ধে একহাত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

তৃণমূলে যোগদান করেই বিজেপির বিরুদ্ধে একহাত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ তৃনমূলে যোগদান করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। দুবছর আগে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন তিনি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করলেন তিনি তৃণমূলে। ইতিপূর্বে একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। আজ তৃণমূলে যোগদান করেই বিজেপিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন যশবন্ত সিনহা।

তৃণমূল ভবনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখদের নেতৃত্বে তিনি যোগদান করলেন তৃণমূলে। তৃণমূলে যোগদান করেই যশবন্ত সিনহা জানালেন, আজ তাঁর তৃণমূলে যোগদান ছাড়াও, আজকের দিনটি একটি বিশেষ দিন। কারন আজ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের জন্মদিন। তিনি জানালেন দেশের পরিস্থিতি বড় অদ্ভুত। যে নীতি মেনে চলার কথা তা মানা হচ্ছে না। এই সময়টি দেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

তিনি জানালেন প্রজাতন্ত্রের মানে ৫ বছর অন্তর অন্তর শুধু ভোট দেওয়া নয়। প্রজাতন্ত্রের অর্থ হলো, সবসময় সরকার মানুষের হয়ে কাজ করবে। কৃষকদের নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা, মাথাব্যথা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। দিল্লির পথে বসে আছেন কৃষকেরা। দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবকিছু দুর্দিনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যেভাবে হোক ভোটে জয়লাভ করাই এখন বিজেপির লক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যশবন্ত সিনহা জানালেন, অটল বিহারি বাজপেয়ির সময়কার বিজেপি, আর এখনকার বিজেপির মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। অটল বিহারি বাজপেয়ি সকলকে নিয়ে চলতেন। কিন্তু এখন বিজেপি সকলকে প্রদানত করে রাখতে চায়। এ কারণেই বিজেপি ছেড়ে দিয়েছে অকালি দল, শিবসেনা, বিজেডি। বিজেপির পুরনো সাথীদের মধ্যে একমাত্র নীতীশ কুমার এখনো বিজেপির সঙ্গে আছেন। বাকি সবাই চলে গেছেন। কারণ, বিজেপির সঙ্গে চলা যায় না। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি সকলেই অটল বিহারি বাজপেয়ির সরকারে ছিলেন।

কান্দাহারে বিমানকে বাঁচাতে নিজে পণবন্দি পর্যন্ত হতে রাজি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যশবন্ত সিনহা অভিযোগ করলেন, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ দিল্লি থেকে যা করছেন, তা দেশবাসী মেনে নেবে না। তিনি জানান, শুধু বাংলাই নয়, দেশের পক্ষেও আগামী বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূণ। তিনি জানালেন, ২০২৪ সালে যে পরিবর্তন ঘটবে, তার সূচনা হবে এই বাংলা থেকে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করে ছিলেন যশবন্ত সিনহা। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে রাজ্যে ভোট প্রচারও করেছিলেন তিনি। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এরপর আজ তাঁর তৃণমূলে যোগদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!