এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনার কঠিন সময়ে বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ বজায় রাখতে বড়সড় সিদ্ধান্ত

করোনার কঠিন সময়ে বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ বজায় রাখতে বড়সড় সিদ্ধান্ত

করোনা সংক্রমণকে রুখতে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। তবে লকডাউন পরিস্থিতি থেকে ছাড় পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। যেমন – দোকান, বাজার, ওষুধের দোকান ইত্যাদি। তবে লকডাউন এর মধ্যে দোকান-বাজার খুললেও জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছেনা। যা পাওয়া যাছে তার দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এই মুহূর্তে বাজারের অবস্থা খতিয়ে দেখতেই সামনে উঠে এল অন্য চিত্র। জানা গেছে, লকডাউন এর আগেই বেশ কিছু মানুষ খাবার মজুদ করার তাগিদে দোকানের বেশিরভাগ জিনিস কিনে নিয়ে গেছেন।

ফলে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের খোঁজে দোকানে গেলে ফিরে আসতে হচ্ছে শূন্য হাতে। এবং সেই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের মূল্য অস্বাভাবিক বাড়িয়ে রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণের কথা চিন্তা করে আজ থেকে পোস্তার বাজার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন। জানা গেছে, আগামী সোমবার থেকে পোস্তার বাজার পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। এর ফলে রাজ্যের মধ্যে সমস্ত দোকানের খাদ্যশস্য সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার পোস্তার পাইকারি মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জরুরী ভিত্তিতে একটি বৈঠক করেন। এবং সেই বৈঠকেই বাজার খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আজকে বাজার খুললেও সোমবার থেকে পুরোদমে পোস্তার বাজার খোলা থাকবে বলে জানা গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, লকডাউন এর মাঝেই বাজার খুললেও কর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোদমে বজায় রাখা হবে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।

তবে পরিবহণ বন্ধ থাকায় রাজ্যের অন্যত্র কিভাবে মালপত্র সরবরাহ করা হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে মার্কেট এসোসিয়েশনের সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেছে, তাঁরা এই ব্যাপারে পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে অনুমান পোস্তার বাজার খুলে যাওয়াতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেরকম- চাল, ডাল, তেল, মসলাসহ অন্যান্য সব কিছুর যোগান এবং দাম স্বাভাবিক অবস্থায় পৌঁছে যাবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং কালোবাজারি রক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও রাজ্যের সর্বত্র সেই ব্যবস্থা পৌঁছায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে প্রশাসন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ এবং পরিষেবার ওপর কড়া নজর রাখছে। অন্যদিকে, অত্যাবশ্যকীয় জিনিস নিয়ে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবহণ না থাকলে জিনিসের আকাল তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় মধ্য কলকাতার এন্টালী মার্কেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি তারক নাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের জন্য বিশেষ পাসের কথা ঘোষাণা করার পরে আমরা অনুমোদন চিঠি তৈরি করেছি।’

এই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বিধি মেনেই মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা কাজে নামবেন। সারা রাজ্যে নভেল করোনাভাইরাস তার সংক্রমণ ইতিমধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে। এই সংক্রমণ রুখতে সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। পরদিন মঙ্গলবার থেকে সারা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন চলবে আগামী 21 দিন পর্যন্ত অর্থাৎ 14 ই এপ্রিল মধ্যরাত্রে দেশজুড়ে লকডাউন উঠবে বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।

তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে কি সিদ্ধান্ত হবে তা এখন লক্ষণীয়। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বংস্থা জানাচ্ছে, বিদ্যুতের গতিতে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সারা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ভারতেও করোনার থাবা এসে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা তার ছায়া ফেলেছে। আপাতত লক্ষ্য, ভারতবর্ষের করোনা সংক্রমণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আটকে দেওয়া। সরকারের লক্ষ্য ভারত যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত না হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!