এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ব্রিগেডে জেলা থেকে ৫ লক্ষ লোক নিয়ে যেতে ব্লকে ব্লকে মিটিং অনুব্রতর, বেআইনি কাজ বা তোলাবাজি হলেই জেলে পোড়ার নিদান

ব্রিগেডে জেলা থেকে ৫ লক্ষ লোক নিয়ে যেতে ব্লকে ব্লকে মিটিং অনুব্রতর, বেআইনি কাজ বা তোলাবাজি হলেই জেলে পোড়ার নিদান

আগামী বছরের শুরুতেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডে কেন্দ্র বিরোধী মহা-সমাবেশ। লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে বিজেপি বিরোধী এই বৃহত্তর মহা জন সমাবেশে জেলাস্তর থেকে রেকর্ড পরিমান লোক নিয়ে যাওয়ার নিদান রয়েছে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর বলে দলীয় সূত্রে খবর। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেই জেলায় জেলায় সভা করতে শুরু করেছেন শাসকদলের রথী-মহারথীরা।

কিছুদিন আগেই পাথরচাপুড়িতে সিউড়ি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত জনসভায় ফের দলের পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করতে জনপ্রতিনিধরা টাকা চাইলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া হুমকি দিলেন তিনি।

পাশাপাশি দলীয় প্রধান সদস্যদের সতর্ক করতে তিনি বললেন, দায়িত্বে থেকে মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু কোনোভাবে যদি তাঁর কানে সরকারি প্রকল্পের নামে জনপ্রতিনিধিদের টাকা নেওয়ার অভিযোগ আসে, তবে তাকে সোজা জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

পাশাপাশি আবার বুথ সভাপতিদেরও প্রতি মাসে কমপক্ষে দুটি করে বৈঠক করারও নির্দেশ দেন তিনি এবং প্রতিটি বুথে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি লিড দাবী করেন। আর এর সাথেই এলাকার উন্নয়নে বেশ কিছু সাবমার্সিবল পাম্প এবং দু’টি বড় রাস্তা তৈরির নির্দেশ দেন বুথ সভাপতিদের।

তৃণমূল জেলা সভাপতির এদিনের সভায় জনসমাগম ছিল লক্ষ্য করার মতো। বিপুল লোক সমাগম দেখেই উৎসাহিত হয়ে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেন অনুব্রতবাবু। অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরির ইস্যু, নোটবন্দি, রাফাল দুর্নীতি এমনকি অসমের এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি সরকারকে তুলোধানা করতে ছাড়েননি তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।

অসমের বিজেপি সরকার রাজ্য থেকে বাঙালিদের তাড়িয়ে দিচ্ছে এই অভিযোগ তুলে সরাসরি মোদীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি আপনার বাবার দাদুর সার্টিফিকেট দেখাতে পারবেন’? এই প্রসঙ্গে বলেন, ভারতবর্ষে যাঁরাই থাকেন তাঁদের একটাই পরিচয় – ভারতীয়। তাঁদের উদ্বাস্তু ঘোষণা করার অধিকার কারোর নেই।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাছাড়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথা উল্লেখ করে অনুব্রতবাবু জানান, বিজেপির মৃত্যুঘন্টা বেজে গিয়েছে। বিধানসভা ভোট, আগামী লোকসভা ভোটে তারই প্রমাণ পাবে বিজেপি। এছাড়া বিজেপির নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিজেপির প্রচারের তিনটি কথা মা, ছেলে(রাহুল, সোনিয়া) আর রামমন্দির। কীসের রামমন্দির? রাম তো আমাদের ঘরে ঘরে আছে। জন্মানোর সময় হরে কৃষ্ণ হরে রাম বলা হয়। গৃহপ্রবেশে রামনাম করা হয়। এমনকী, মৃত্যুকালেও। রাম আমাদের হৃদয়ে আছে’।

এর পাশাপাশি রাজ্যসরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় এসে বাংলার ছবিই পাল্টে দিয়েছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্প চালু করে রাজ্যকে উন্নয়নের শীর্ষে পৌছে দিয়েছেন। জেলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, বর্তমানে কোনো জেলায় একটাও কাঁচা রাস্তা নেই এবং আগামী দিনে বিভিন্ন কাঁদরের (ছোট খাল) উপর কালভার্ট নির্মান করার কথাও জানান তিনি। একই সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দেন – আগামী ব্রিগেড সমাবেশে শুধু বীরভূম জেলা থেকেই তিনি পাঁচ লক্ষ তৃণমূল অনুগামীদের নিয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত, এদিনের সভায় অনুব্রতবাবুর পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা ফুটবলার শিশির ঘোষ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতার সভা নিরাপত্তার বহর ছিল নজরে আসার মতো। পাইলট কার সহ দশটি গাড়ির কনভয়ের পাশাপাশি সিউড়ি থেকে পাথরচাপুড়ি যাওয়ার রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে প্রচুর পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েত করা হয় এদিন। মঞ্চে কড়া সুরক্ষা প্রদানের জন্যে হাজির ছিলেন মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীরাও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!