এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের আক্রমণ থেকে দলকে বাঁচাতে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের লাঠিধারী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী

তৃণমূলের আক্রমণ থেকে দলকে বাঁচাতে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের লাঠিধারী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে গিয়ে প্রায়শই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে থাকেন, “আঘাত করতে আসলে প্রত্যাঘাত হবে”। আর এবারে দিলীপবাবুর সেই কথা মতই কোচবিহারের গ্রামেগঞ্জে চোখে পড়তে শুরু করেছে বিজেপির লাঠিধারী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কোচবিহারের ঝিনাইডাঙ্গায় মঞ্চ রক্ষা ও জমি পাহারার কাজ পালনের মূল দায়িত্ব ছিল এই লাঠেল বাহিনীর ওপরই।

জানা গেছে, গ্রামের যুবকদের নিয়েই বিজেপির সুশৃঙ্খল বাহিনী তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাহাড়ে এক সময় যেভাবে মোর্চারা নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছিল, ঠিক সেইভাবেই নিজেদেরকে এখন থেকে শাসকের বিরুদ্ধে তৈরি করতে বিজেপির এই লেঠেল বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বিজেপির রথযাত্রা উপলক্ষে গত শুক্রবার কোচবিহারের ঝিনাইডাঙ্গায় যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী এই লাঠিধারী যুবকদের অনেককেই দেখা গেছে।

বিজেপি সূত্রের খবর, শীতলকুচি, মাথাভাঙ্গা, মেখলিগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেই সেদিন এই লাঠিধারী যুবকরা এসেছিলেন। সেদিনের দলীয় সভায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রতিটি মিছিলেই এই লাঠিধারী বাহিনী ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। রাত পাহারা, মাঠে টহল দেওয়া, ভিআইপি গেট দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা, ভিড় নিয়ন্ত্রন, জাতীয় সড়কে যান নিয়ন্ত্রণ সহ এই সভায় শান্তি স্থাপনে মূল দায়িত্ব ছিল এই যুবক বাহিনীর ওপরই। কিন্তু হঠাৎ হাতে এই লাঠি কেন?

বিজেপির একাংশের দাবি, শাসকদল যদি কোনরূপ হামলা করে তার পাল্টা দিতেই এই ছোট ছোট বাঁশ, লাঠি কিনে আনা হয়েছিল। এমনকি বিজেপির পরবর্তী সভাগুলোতেও এই লাঠিধারী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকেই এখন থেকে ময়দানে নামানোর চিন্তাভাবনা করছে গেরুয়া শিবির।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের এই সভার দিন মিছিল আটকানোর জন্য কোচবিহার শহরের স্টেশন চৌপথি এলাকায় যুব তৃনমূলের একাংশ দাঁড়িয়ে থাকলেও লেঠেল বাহিনী দেখে শেষপর্যন্ত নাকি পিছু হটে যায়। যদিও বা বিজেপির এই লাঠিধারী যুবকদের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।

এদিন তিনি বলেছেন, “ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে বিজেপির এই লেঠেল বাহিনী তৈরি হয়েছে। ফের যদি তাদের পথে নামানো হয়, তাহলে আমাদের যুব কর্মীরা রাস্তায় নেমে তাদের প্রতিহত করবে”। রাজনীতির জবাব রাজনীতির মধ্যে দিয়ে না দিয়ে কেন লাঠিধারী যুবকদের এইভাবে প্রকাশ্যে মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি? এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি মালতি রাভা বলেছেন, “আমাদের কর্মীদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে। তাই তা প্রতিরোধের জন্য আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরাও তৈরি হয়েছেন”।

অন্যদিকে, একধাপ এগিয়ে কোচবিহার জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সমীর রায় বলেছেন, “তৃণমূলের মার খেতে খেতে আমাদের পিঠ শক্ত হয়ে গেছে। তাই এবার আর প্রতিরোধ নয়, প্রতিশোধ নিতেও আমরা পিছপা হব না”। রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরবঙ্গ এতদিন শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবরে উত্তপ্ত ছিল। কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের লাঠিধারী বাহিনী এইভাবে প্রকাশ্যে আসায় ‘প্রতিরোধ’ বা ‘প্রতিশোধ’ – যাই হোক না কেন উত্তরবঙ্গের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!