প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্ষবরণ হয়েছে শীতের কাঁপুনিতে। সেখানে আর কতদিন এই শীতের আমেজ থাকবে, সেই প্রশ্নই বঙ্গবাসির মনে। সেখানে কাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কিনা স্বভাবের থেকে ৩ ডিগ্রী কম। তবে আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। এবং আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম।

সেইসঙ্গে তাপমাত্রার এই প্রভাব উত্তর থেকে দক্ষিণে আপাতত বহাল থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে কাল থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানান হয়েছে। অন্যদিকে আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার থাকবে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯০% থেকে ৪২% থাকবে। বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া পরিবর্তন হবে না বলেই জানা গেছে।

সেখানে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের মতোই দক্ষিণবঙ্গতেও মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবেশি হবে বলে জানানো হয়েছে। সকাল ৬:১৬ মিনিটে সূর্যোদয় এবং ৫:০৩ মিনিটে সূর্যাস্ত। এছাড়া জোয়ার সকাল ১০:২৫মিনিট এবং রাত ১০:১৯ মিনিটে। এবং ভাঁটা বেলা ১:৫৩ মিনিট এবং রাত ২:১৯ মিনিটে।

তবে সেখানে জানানো হয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টায় ন্যূনতম তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নিচে থাকলেও, সামনের সপ্তাহে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ওপরে উঠতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সম্পর্কেও জানা গেছে। অন্যদিকে, উত্তর ভারত জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ হবে বলেও জানান হয়েছে। সেখানে দিল্লিতে গতকাল মরশুমের শীতলতম দিন হিসেবে রেকর্ড করেছে। রাজস্থানের চুরুতে তাপমাত্রা ৪৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। এছাড়াও পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

আবহাওয়াবিদদের কথায়, বস্তুত, হিমালয়ের উত্তরে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে এত ঠান্ডা পড়ছে। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে তুষারপাত চলছে বলেও জানা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, সৌরাষ্ট্র-সহ অনেক জায়গাতেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নেমে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।