তপশিলি ভোট নিজেদের দিকে আনতে নয়া পরিকল্পনা তৃণমূলের! জেনে নিন! তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য October 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর জন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে বিজেপি প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে রননীতি সাজাতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্তরে বৈঠক করে কিভাবে বাংলার মানুষের কাছাকাছি আরও বেশি করে পৌঁছে যাওয়া যায়, তার জন্য পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে হারানো জমিতে ফেরত পেতে নতুন পরিকল্পনা করল ঘাসফুল শিবির। বস্তুত, গত লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। তাই এবারে সেই এলাকার তপশিলি মানুষদের ভোট নিজেদের দিকে টানতে “তপশিলি সংলাপ” নামে এক নতুন কর্মসূচি চালু করতে চলেছে শাসক দল। জানা গেছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগের কাজ করবেন দলের তপশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সম্প্রদায়ের ভোট নিজেদের দিকে টানতে প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। ব্যাপক উন্নয়ন করা সত্ত্বেও কেন এই ধরনের ফলাফল হল, তা নিয়ে পর্যালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই প্রশান্ত কিশোরকে দলের দায়িত্ব দেওয়ার পর তার মস্তিষ্কপ্রসূত “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতা” মত কর্মসূচি পালন করতে শুরু করে শাসকদল। যার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে যে তফসিলি সম্প্রদায়ের ভোট পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই সম্প্রদায়ের ভোট যাতে নিজের দিকে টানা যায়, তার জন্যই এবার “তফশিলি সংলাপ” নামে নতুন কর্মসূচি আনতে চলেছে শাসকদল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে জনসংযোগ আরও জোরালো করা হবে। শুধু তাই নয়, গত লোকসভা ভোটের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যে সমস্ত এলাকায় তফশিলি সম্প্রদায়ের আধিক্য বেশি, সেখানে বিজেপি বেশি ভোট পেয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করায় প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে তৃণমূল এই কর্মসূচির মাধ্যমে সেই সম্প্রদায়ের মন জয় করতেই এই রকম উদ্যোগ গ্রহন করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেমন হবে এই কর্মসূচি? জানা গেছে, প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দশজন তফশিলি নেতার নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। যাদের নিয়ে টিম তৈরি করা হবে। আর সেই সমস্ত নেতারাই প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে নিজ নিজ এলাকায় দলের হয়ে প্রচার করবেন বলে খবর। প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এই প্রচার চলবে। আর সেই সমস্ত কিছু চূড়ান্ত হয়ে গেলেই তৃণমূল তাদের এই কর্মসূচি শুরু করে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি গত লোকসভায় তফশিলি সম্প্রদায়ের মন জয় করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। জঙ্গলমহলের মত এলাকায় এই সম্প্রদায়ের আধিক্য সবথেকে বেশি। তাই সেখানে যদি তৃণমূলকে ভালো ফল করতে হয়, তাহলে এই সম্প্রদায়ের মন জয় করতে হবে। আর সেই কারণেই প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের এই অসুখটি ধরে নিয়ে তা সারাবার জন্য তফশিলিদের জন্য পৃথক কর্মসূচিতে জোর দিতে শুরু করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল তাদের এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সেই সম্প্রদায়ের মন জয় করতে কতটা সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -