এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তড়িঘড়ি ঘাসফুলের সাংগঠনিক বৈঠক, টানটান উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে

তড়িঘড়ি ঘাসফুলের সাংগঠনিক বৈঠক, টানটান উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টএবার তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক কালীঘাটের বাড়িতে। উপনির্বাচনের আগে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে রাজ্যের ঘাসফুল শিবিরে নেমেছিল ব্যাপক ধ্বস। একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, কর্মীরা একযোগে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। যাদের মধ্যে অনেকেই আবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শিবিরের হয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ সফল হয়েছেন, কেউ হননি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর এবার ছবিটা পাল্টানোর দিকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে।

কারণ ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের অনেকেই যারা একসময় তৃণমূলে ছিলেন, তাঁরা ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছেন কেউ প্রকাশ্যে, কেউ আড়ালে। তবে দলবদলু নেতারা তৃণমূলে আদৌ জায়গা পাবেন কিনা তা নিয়ে এখন চলছে রাজনৈতিক মহলে জোরদার জল্পনা। ইতিমধ্যেই জল্পনা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকের জেরে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপি থেকে তিনজন সাংসদ এবং 11 জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে আসতে চাইছেন। এই দাবি যদি সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরে নামবে বিশাল ধ্বস। আর তাই তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের ওপর কড়া নজর রাখছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই প্রশ্ন, গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর তড়িঘড়ি সাংগঠনিক বৈঠক ডাকার পেছনে কি অন্য কোনো কারণ রয়েছে? প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের বৈঠকে কে যোগ দিচ্ছেন, কে দিচ্ছেন না সেদিকে কড়া নজর রেখেছিল গেরুয়া শিবির। অখন অবশ্য বেসুরো নেতাদের দলে টানা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বিজেপির কাছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্য। যারা বিজেপি থেকে তৃণমূলে যেতে চাইছেন তাঁদেরকে নিয়ে তৃণমূল কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা এখন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল যদি দলবদলুদের আবার দলে নেয় তাহলে তৃণমূলের নীচুস্তরে খারাপ প্রভাব পড়বে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই দলের নীচুস্তর থেকে বলতে শুরু করেছেন, দলবদলুদের ছাড়াই একুশের নির্বাচন জেতার পর তাঁদের দলে নেওয়া মোটেই উচিত হবেনা। পাশাপাশি, গেরুয়া শিবির থেকে এই মুহূর্তে তৃণমূলে অনেকেই আসতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথা সত্যি হওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের সাংগঠনিক বৈঠক ভার্চুয়ালি নয় বরং প্রত্যক্ষভাবে সাংগঠনিক পদাধিকারী এবং সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটে বসতে চলেছেন। আর তাতেই উত্তেজনা বেড়েছে গেরুয়া শিবিরেও।

পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের এই বৈঠক ডাকার পেছনে রয়েছে একুশে জুলাই। কারণ এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো বিজয় মিছিল করা হয়নি করোনা পরিস্থিতির জেরে। সেক্ষেত্রে একুশে জুলাই এর মঞ্চে যোগদান মেলা হতে পারে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ঘাসফুল শিবিরের সাংগঠনিক বৈঠক এই মুহূর্তে সব থেকে বড় আলোচ্য বিষয়। এই বৈঠকে শুধুমাত্র তৃণমূল নয়, আগ্রহী হয়ে উঠেছে বিরোধী দল বিজেপিও।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!