বাংলায় কি এবার গণমৃত্যু নিশ্চিত? আমেরিকা প্রবাসী বাঙালি ডাক্তার দিলেন ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত! আন্তর্জাতিক কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য May 13, 2020 বিশ্বজুড়ে নয়া ত্রাস করোনা ভাইরাস। কিন্তু তার মধ্যেও বাংলার জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর হলো করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ক্ষতিকারক স্ট্রেনগুলি এ রাজ্যের মানুষদের মারাত্মক ভাবে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে না , যে কারণে বাংলার আমজনতার মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও কিছুটা স্বস্তি ছিল। কিন্তু এবার সেই স্বস্তিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে এক আশঙ্কার কথা জানালেন ইন্দো-আমেরিকান বংশোদ্ভুত বাঙালি চিকিত্সক ডক্টর ইন্দ্রনীল বসু রায়। জানা যাচ্ছে এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানান যে, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ক্ষতিকারক স্ট্রেনগুলি এ রাজ্যের মানুষদের মারাত্মক ভাবে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে না, কিন্তু সেই কারণে প্রশাসন যদি তেমন কঠোর ভাবে পদক্ষেপ না গ্রহণ করে তবে তার পরিনাম হতে পারে মারাত্মক। আর বিশিষ্ট এই ডাক্তারের চিঠি সামনে আসতেই স্বাভাবিক নিয়মে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। জানা যাচ্ছে, আমেরিকার টেনেসের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীলবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘আমি যেটা উল্লেখ করতে চাই সেটা হল পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা অত্যন্ত বেশি। ঘনবসতিপূর্ণ এ রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট জায়গাতেও যদি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে, তবে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে হু হু করে। হাজার হাজার মানুষ সংক্রামিত হবেন, তার মধ্যে কিছু অংশ মারা গেলেও সেই সংখ্যা অনেকটাই দাঁড়াবে।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ডাক্তার বসু রায়ের বক্তব্য হল, ‘যে কারণে কড়াভাবে মানতে হবে কয়েকটি নিয়ম। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। তার সাথে এ নিয়ে পশ্চিমী দেশ যা যা পদক্ষেপ করছে তা অনুসরণ করতে হবে। আমরা কোনও কিছুকেই আলগা দিতে পারব না। কারণ একবার সংক্রমণ বড় আকারে ছড়িয়ে গেলে আফশোস ছাড়া কিছু করার থাকবে না। আজ কড়া হাতে পরিস্থিতি না সামলালে এবং তাড়াতাড়ি রোগনির্ণয় করতে না পারলে পরে কেবল বসে বসে মৃত্যুমিছিল গুনতে হবে।’ সাথেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছেন যে, , ‘এই জন্যই আমি অনুরোধ করছি, দয়া করে এই ঘাতক ভাইরাসটিকে নিকেশ করার জরুরি পদক্ষেপ করুন। নইলে এটি ডেডলাইন পার করে ফেলবে, বিপদ ঘটাবে। লকডাউন, টেস্টিং, আইসোলেশনে আরও জোর দিন। পশ্চিমের দেশগুলির মতোই কড়া হোন শৃঙ্খলায়।’ বস্তুত, ডাক্তার বসু রায় যা বলেছেন তা কার্যত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথারই প্রতিফলন। বিরোধীদের অভিযোগ, খাতায়-কলমে তা সব মানা হলেও, বাস্তবে এগুলি ঠিকমত হচ্ছে না বাংলায়। এর পাশাপাশি বাংলায় কোভিড ১৯ রোগীদের মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেটে কী লেখা হবে এ নিয়ে আলাদা কমিটি গড়ে মতামত নেওয়ার বিষয়েও আশ্চর্য হয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী এই ডাক্তার। তিনি চিঠিতে বলেন, ‘এই ধরনের সংক্রমণ লুকিয়ে রাখা বা সংখ্যা কম করে দেখানো, আইসোলেশনে গাফিলতি করা – এ সবই গণমৃত্যু ও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে পরিস্থিতি। আমি নিশ্চিত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এমনটা আপনি কখনও চাইবেন না।’ স্বাভাবিকভাবেই ডাক্তার বসু রায়ের এই চিঠি চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের – ফলে এখন করণীয় হলো, শুধুমাত্র ঘরে থাকা আর প্রশাসন যা বলছে তা মেনে চলা। আপনার মতামত জানান -