এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মহেশতলা উপনির্বাচন – শেষ হাসি হাসবেন কে? কি বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা?

মহেশতলা উপনির্বাচন – শেষ হাসি হাসবেন কে? কি বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা?


রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যুতে মহেশতলাতে হতে চলেছে উপনির্বাচন। রাত পোহালেই সেখানে ভোটগ্রহণ। সময় যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে মহেশতলা উপনির্বাচন ঘিরে। কি হবে ফলাফল? কে হাসবেন শেষ হাসি? জল্পনার অন্ত নেই সেসব নিয়ে। কি হতে পারে মহেশতলা উপনির্বাচনের ফল – এই প্রশ্ন নিয়ে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলি, সেখান থেকে উঠে আসছে একাধিক গুরুত্ত্বপূর্ন সম্ভবনা।

মহেশতলায় এবারে উপনির্বাচনে লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী, অর্থাৎ নোটাতে বেশ কিছু ভোট গেলেও ভোট কাটাকাটির খেলা খুব একটা হচ্ছে না। সাধারণত দেখা যায়, এই ধরনের উপনির্বাচনে অন্যান্য ছোটদলের বা নির্দল প্রার্থীর ভোট কাটাকাটিতে অনেক সময় নির্বাচনের ফল পাল্টে যায়। বিশেষ করে মহেশতলার মত ‘ক্লোজ মার্জিনের’ আসনে। এখানে ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যেতে মাত্র ১২ হাজারের সামান্য বেশি ভোটে, অন্যদিকে তার আগে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ৮ হাজারের কাছাকাছি ভোটে এগিয়ে ছিলেন এই বিধানসভা থেকে। এই কেন্দ্রের মোট ভোটার প্রায় আড়াই লক্ষ, সেই হিসাবে এই ফলাফল খুব একটা স্বস্তিতে রাখবে না শাসকদলকে।

অন্যদিকে ২০১৬ সালের পর রাজ্যে যেকটা উপনির্বাচন হয়েছে, প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গেছে লাফিয়ে লাফিয়ে ভোট বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির। রক্তক্ষরণ অব্যাহত থেকেছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের। এই উপনির্বাচনে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম কংগ্রেস নিজেরা প্রার্থী না দিয়ে বাম প্রার্থীকে সমর্থনের পথে হাঁটছে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনেই দেখা গেছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে অনেক পিছনে ফেলে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নাম বিজেপি। তাই ফলাফল নিয়ে জল্পনা বাড়া খুব স্বাভাবিক, মানুষ কাকে বেছে নেবেন? শাসকদলের ভরসা রাখবেন নাকি বিকল্প শক্তির খোঁজ করবেন? বিকল্প শক্তিটা আসলে কে? বামফ্রন্ট-কংগ্রেসের মহাজোট নাকি বিজেপি?

সদ্য হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা বারবার শাসকদলের ‘সন্ত্রাসের’ কথা তুলেছেন, যদিও শাসকদল সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে শাসকদলের প্রার্থী দুলাল দাস জানিয়েছেন মানুষের আশীর্বাদেই তিনি জিততে চান, তাই সুষ্ঠু নির্বাচন করাটাই তাঁর মূল লক্ষ্য। এমনিতে অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ বলে পরিচিত দুলালবাবু, তার উপরে স্ত্রীর মৃত্যুতে হওয়া উপনির্বাচনে সহানুভূতির হাওয়া তাঁকে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু অন্যদিকে বাংলায় জয়ের গন্ধ পেয়ে যাওয়া বিজেপির কাছে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় আসন হল মহেশতলা, ফলে রাজ্যের পাঠানো সাম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা থেকে সবাইকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব প্রার্থী করেছে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা সুজিত ঘোষকে। অন্যদিকে বামফ্রন্ট সবাইকে চমকে দিয়ে কোনো হেভিওয়েট মুখ নয়, ভরসা রেখেছে তরুণ প্রজন্মের নবীন রক্তের প্রভাত চৌধুরীর। ফলে সবমিলিয়ে লড়াই জমজমাট – শেষ হাসি কে হাসছে বোঝা যাবে ৩১ তারিখ ইভিএম খুললেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!