এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রাণ বিলিতে দিলীপকে পুলিশ দিয়ে আটকানো হলেও, মান্নান-সুজনকে অনেকটাই ছাড়! উঠছে প্রশ্ন

ত্রাণ বিলিতে দিলীপকে পুলিশ দিয়ে আটকানো হলেও, মান্নান-সুজনকে অনেকটাই ছাড়! উঠছে প্রশ্ন


করোনা ভাইরাসের মধ্যেই হঠাৎ করে রাজ্যে ভয়াবহ দূর্যোগ আমপান চলে আসায় এখন ঘুম উড়েছে সকলের। ভয়াবহ এই ঝড়ের ফলে কলকাতা, দুই 24 পরগনা মেদিনীপুর সহ নদিয়া, মুর্শিদাবাদ বিভিন্ন জেলায় মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এর মধ্যেই শাসক-বিরোধী তরজা লক্ষ্য করা যাচ্ছে‌। যেখানে বিজেপির নেতা বা জনপ্রতিনিধিরা কোনো দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বাধাদানের অভিযোগে উঠছে।

জানা যায়, শনিবার দক্ষিণ 24 পরগনায় যাওয়ার পথে গড়িয়ায় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের গাড়ি। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার পুলিশের পক্ষ থেকে দীলিপবাবুর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। দেখা যায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা “দিলীপ ঘোষ গো ব্যাক” স্লোগান দিতে থাকেন।

আর এতেই চরমভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা পেয়ে খড়্গপুরের দিকে হেঁটে আসতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবুকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আটকানোর জন্য চেষ্টা করা হলেও, সেভাবে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানকে আটকাতে দেখা গেল না পুলিশের পক্ষ থেকে। যাকে কেন্দ্র করে এখন রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন দক্ষিণ 24 পরগনার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। সেভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে তাদের আটকানো না হলেও, হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। আর এরপরই বাইকে চেপে বারুইপুর, জয়নগরের ত্রাণশিবিরে পৌঁছে যান মান্নান সাহেব এবং সুজনবাবু। তবে বিরোধীদের ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে এই রূপ বাধাদান কেন আসছে, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

কিন্তু এর থেকেও বেশি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, যখন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পুলিশের পক্ষ থেকে আটকানোর জন্য সবরকম তৎপরতা অবলম্বন করা হয়েছিল, সেখানে বিরোধী দল হওয়া সত্বেও কেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবং সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীকে আটকানো হল না! কেন এই দুই ব্যক্তির সেই ত্রাণশিবিরে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে অতটা কঠোরতা অবলম্বন করল না প্রশাসন?

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আসলে বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএম এক হয়েছে। তাই দিলীপ ঘোষের মত নেতাকে সর্বত্র আটকানো হচ্ছে। তবে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানকে না আটকে তৃণমূল তাদের সঙ্গে সমঝোতা করার বার্তা দিচ্ছে। আর তাই বিজেপির ক্ষেত্রেই তারা যত কঠোর আইন আনতে শুরু করেছে। এদিন ত্রাণশিবিরে যাওয়ার জন্য আটকে যাওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, “আমার সংসদ এলাকা এগড়ায় আমি যেতে পারব না! জানি না, এদের আইন কি? দুর্গত মানুষের কাছে গেলে ত্রাণ সাহায্য করলে কিসের আইন-শৃংখলার অবনতি হবে!” এদিকে দুর্গত এলাকায় তাদের যাওয়ার ক্ষেত্রে কতটা অসুবিধা না হলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হেনস্থার অভিযোগ তুলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের পরিষদ নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিপর্যয়ের পড়ে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণাত্মক মনোভাব নিতেই এলাকায় এলাকায় তৃণমূল মারমুখী হয়ে উঠেছে।”

যদিও বা শাসক দলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শুধু সংবাদে থাকতে এই রকম পরিস্থিতিতে দিলীপবাবুরা পথে নেমেছেন। এই সময় মানুষের নিরাপত্তার প্রয়োজন। যে কাজ সরকার করছে। বিরোধীরা যা করছেন, সেটা ছেলেমানুষি রাজনীতি।” আর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সেক্ষেত্রে কেন তিনি সুজন চক্রবর্তী বা আব্দুল মান্নানের মত বিরোধী নেতাদের আক্রমণ করলেন না! কেন তার রোষানলে পড়লেন শুধুমাত্র বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ? তাহলে কি শাসকদলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে ধরে নিয়ে, কিছুটা চাপে থেকে প্রশাসনকে দিয়ে সেই বিজেপি নেতাদের আটকানো হচ্ছে! সেদিক থেকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে বাম এবং কংগ্রেসকে? এখন এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে বিজেপি সহ রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!