এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ত্রাণের ত্রিপল বিলি নিয়েও তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে! বাড়ছে জল্পনা

ত্রাণের ত্রিপল বিলি নিয়েও তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে! বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবছরের বর্ষার মৌসুমে মালদহ জেলার টাঙ্গন নদীতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা যায়। এর ফলে মালদহ জেলার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সিন্ধিয়া, বিধানগর চর, লক্ষ্মীপুর জলে প্লাবিত হয়ে পড়ে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকাগুলির প্রায় ৬০০ টি পরিবার। বহু মানুষ নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে যদি বাঁধে ও সরকারের সংরক্ষিত এলাকায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। দুর্দশাগ্রস্থ মানুষেরা ত্রাণের দাবিতে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে বিক্ষোভ করেন।

শেষ পর্যন্ত বিজেপি পরিচাললিত মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ২০০ টি ত্রিপল বিলি করা হয়েছিল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে। কিন্তু এই সামান্য ত্রিপলতে ত্রিপলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়নি। গ্রামবাসীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে আরও বেশি ত্রিপলের দাবি জানায়। রাজ্যের বরাদ্দ করা ত্রিপল উপযুক্তভাবে না মেলায় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন। এরপর গ্রামবাসীদের ত্রিপলের বাড়তি চাহিদা মেটাতে পঞ্চায়েতের বা প্রশাসনের দ্বারা ত্রিপল বিলি না করে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দ্বারা তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে। পঞ্চায়েত এর মাধ্যমে ত্রিপল বিলি না করে, তা তৃণমূল দলের নেতা-নেত্রীদের মাধ্যমে বন্টন নিয়ে শুরু হয়েছে যথেষ্ট চাপানউতর।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রতি বিজেপি অভিযোগ করেছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে পঞ্চায়েতের ত্রিপল স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছে চলে যাচ্ছে ।তারপর সেই তৃণমূল দলের নেতারা বন্টন করে নিজেদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। তবে তৃণমূল বিজেপির এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ একাজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ তার ওপরে তারা বন্যা ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করছে। এই কারণেই তৃণমূল সরাসরি সংশ্লিষ্ট এলাকার অসহায় মানুষদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেবার কাজে ব্যস্ত হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বন্যার্তদের এই ট্রিপল বন্টন প্রসঙ্গে পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল দলনেতা নিতাই মন্ডল জানিয়েছেন, ” মুচিয়ার বেশকিছু সংসদ পুরোপুরি জলের তলায় চলে গিয়েছিল। অনেক দুর্গত এখনও ত্রাণ পাননি। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কিছু ত্রিপল দিয়ে সাহায্য করা হয়েছিল। আমরা যেটা জানতে পেরেছি, পঞ্চায়েতের বরাদ্দ ত্রিপল তৃণমূল নেতাদের হাত দিয়ে বন্টন করা হয়েছে। এনিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”

আবার, এ প্রসঙ্গে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যকরী তৃণমূল সভাপতি হারেজ আলী জানিয়েছেন, ” ব্লক প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েতের কাছে আগে যে বরাদ্দ ত্রিপল গিয়েছিল, সেগুলি আর দুর্গত এলাকায় পৌঁছয়নি। দুর্গতদের একটি তালিকা ব্লক অফিসে জমা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০টি ত্রিপল বন্টন করা হয়েছে। এখানে বিতর্কের কিছু নেই। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এসব কিছু করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে ত্রিপল বিলি প্রসঙ্গে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েতের প্রধান সেইসঙ্গে স্হানীয় বিজেপির জনৈক নেত্রী শুভলক্ষ্মী গায়েন চৌধুরী বলেছেন, ” যে ত্রিপল পঞ্চায়েতের মাধ্যমে দেওয়ার কথা, তা না করে নেতাদের মাধ্যমে বিলি করা হয়েছে। অনেকে ত্রিপলের জন্য পঞ্চায়েতে ঘুরে যাচ্ছেন। আমরা ত্রাণ নিয়ে দুর্গতদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছি না।”

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে পুরাতন মালদহ ব্লকের প্রশাসনের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে মালদহ সদর মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানো জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে ত্রিপল বণ্টন বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন, চাহিদা অনুযায়ী ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!