এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ব্যাঙ্কে মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে এসএমএস প্রতারণার ফাঁদে বেকার যুবক-যুবতীরা

ব্যাঙ্কে মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে এসএমএস প্রতারণার ফাঁদে বেকার যুবক-যুবতীরা

“ব্যাঙ্কে পূর্ন সময়ের চাকরির জন্য আপনি নির্বাচিত হয়েছেন। বেতন ১৭,৫০০ থেকে ৩৪,৫০০ টাকা। ডিরেক্ট ইন্টারভিউ – ফোন করুন এই নম্বরে। চাকরির জন্য কাউকে টাকা দেবেন না” – সম্প্রতি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নাম করে এমনই এক এসএমএস পেয়ে সেই নাম্বারে ফোন করেছিলেন নদীয়ার এক বেকার যুবক। আর তারপর যা হল জানলে চমকে যাবেন!

ওই যুবকের অভিজ্ঞতা থেকেই জানা গেছে, প্রথমে ৬০ টাকা দিয়ে একটি ট্রেনিং ফর্ম ফিলাপ করতে বলা হয় ওই যুবককে। এরপর সাত দিনের ট্রেনিংয়ের জন্য তাঁর কাছ থেকে প্রায় ৫ হাজার টাকা নেওয়া হলেও তাঁর পর চাকরির খবর নেওয়ার জন্য বারেবারে ফোন করলেও কোনো ফোনই ধরছে না সেই প্রতারকেরা। তবে শুধুমাত্র ওই নাদিয়ার যুবকই নন – অভিনব এই প্রক্রিয়ায় প্রতারিত হয়েছেন আরও অনেক বেকার যুবক-যুবতী।

আবার আরেক যুবকের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বন্ধুর কাছ থেকে পুরো ব্যাপারটা জেনে তিনি নিজে থেকেই সেই নাম্বারে ফোন করলে তাঁকে আবার জানায় হয়, “এখন শূন্যপদ নেই। খালি হলে জানানো হবে”। তবে এইভাবে কি আদৌ কোনো ব্যাঙ্কের নাম করে চাকরির অফার দিয়ে মেসেজ পাঠানো হয়? এই নিয়ে যে ব্যাঙ্কের নামে মেসেজ আসছিল সেখান যোগাযোগ করা হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ওই ব্যাঙ্কের নদীয়া শাখার ম্যানেজার স্পষ্ট জানান, “বিষয়টি আমাকে কয়েকজন জানিয়েছেন। তবে ব্যাঙ্কে এভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় না। কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে শূন্যপদ পূরন করা হয়। এই এসএমএস পাঠানোটা একটি প্রতারনা চক্র ছাড়া আর কিছুই নয়”। এদিকে এইভাবে বেকারদের জীবন নেয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য সঠিক তদন্তের দাবি তুলেছেন প্রতারিতদের পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান নিয়ে আন্দোলনরত সমাজসেবীরাও।

সূত্রের খবর, এই প্রতারনা চক্রের হদিশে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসনও। জানা গেছে, এসএমএসে এমন অফার কারোর কাছে এলেই তা এড়িয়ে যাওয়ার আবেদনও জানানো হচ্ছে পুলিসের তরফে। এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সাইবার ক্রাইম নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই সচেতনতা চালাচ্ছি। যে নম্বর থেকে এই মেসেজ আসছে, সেগুলি দিয়ে পুলিশে অভেযোগ করলেই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে”।

তবে পুলিশ প্রশাসন নিজেদের কাজ করলেও ভুয়ো মেসেজের কোপে পড়ে চাকরির আশায় টাকা দিয়ে এখন মাথায় হাত প্রতারিত বেকার যুবক-যুবতীদের। এরকমই এক প্রতারিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবকের কথায়, পাশ করে দীর্ঘদীন বসে আছি – সরকারি চাকরির আশা ছেড়েই দিয়েছি। মেসেজটা দেখেই কি রকম যেন হয়ে গেল – তারপরে ফোন করতেই কর্পোরেট কায়দায় একটার পর একটা স্টেপ করিয়ে নিল একবারের জন্যও বুঝতে পারি নি প্রতারিত হচ্ছি। এইভাবে প্রতারিত হয়ে এখন সত্যিকারের চাকরির বিজ্ঞাপনেও সাড়া দিতে ভয় করছে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!