এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল সাংসদ মৌসমের খাসতালুকে তীব্র ভাঙ্গন অব্যাহত, ক্রমশ তুমুল হচ্ছে ক্ষোভ! জানুন বিস্তারে

তৃণমূল সাংসদ মৌসমের খাসতালুকে তীব্র ভাঙ্গন অব্যাহত, ক্রমশ তুমুল হচ্ছে ক্ষোভ! জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মালদহ জেলার ভূতনিতে ব্যাপকভাবে গঙ্গার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সেচ দপ্তরের উদাসীনতা নিয়ে। একে করোনার হানা তার উপরে গঙ্গার ভাঙ্গন, সবকিছু নিয়ে প্রচন্ড আতঙ্কগ্রস্থ ভূতনি গ্রামের বাসিন্দারা।

সামনেই কড়া নাড়ছে দুর্গাপূজা। আসন্ন পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে সকলে যখন ঘর গোছাতে, জামা-কাপড় কিনতে ব্যস্ত থাকেন, সেই সময়ে মালদহ জেলার ভূতনিতে নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা গ্রামবাসীরা। নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে নদীর তীরের বেশ কিছু জমি চলে গেছে জলের তলায়।

অনেক ঘরবাড়িও জলের তলায় চলে গেছে। বাড়ি ছেড়ে গ্রামবাসীদের আশ্রয় নিতে হচ্ছে অন্যত্র। মালদহ জেলার ভূতনির আনন্দপুর অঞ্চলে গত দু’দিন ধরে প্রবল নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে নদীর বাঁধ রয়েছে কয়েক কিলোমিটার দূরে। এই অবস্থায় যদি এরকম ভাবে ভাঙ্গন চলতে থাকে, তবে বাধে ফাটল ধরে বিশাল বিপদের আশঙ্কা আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভূতনি গ্রামের এক বাসিন্দা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, চলতি বছরে যেভাবে নদীর ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে তার ফলে প্রবল দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই গ্রামের ৫০, ৬০ টিরও বেশি বাড়ি নদীর গর্ভে লীন হয়ে গেছে। বাঁধের অবস্থা ভালো একেবারেই নয়। বাঁশ, কাঠ দিয়ে কোনক্রমে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চলছে। অন্যান্য বেশকিছু গ্রামবাসীদের মতো তিনিও এই অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন সেচ দপ্তরের উদাসীনতাকে।

এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, সেচ দপ্তর সঠিকভাবে যদি নিজেদের কাজ না করে তাহলে গোটা গ্রামটাই ধ্বংস হয়ে যাবে। যদিও সেচ দপ্তর তাদের বিরুদ্ধে ওঠা উদাসীনতার এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে।

তবে মিটছেনা গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। তাদের ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ছে মালদহ তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও সেইসঙ্গে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের উপরেও। প্রসঙ্গত, মৌসম বেনজির নূর দীর্ঘকাল কংগ্রেস করেছিলেন। তিনি বিখ্যাত গণি খান পরিবারের অন্যতম সদস্য।

গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস থেকে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মৌসম বেনজির নূর যিনি রাজ্যসভার সাংসদ, তিনি কেন তাঁর এলাকার এই বিপর্যয় নিয়ে সরব হননি কেন্দ্রের কাছে। এ বিষয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামবাসীর। যার ফল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মোটেই সুখকর হবে না শাসকদলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!